স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিজিও থেকে বেরনোর পথে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, শরীর একদম ভালো নেই। আমি মরে যাব। আর বাঁচব না।’ ‘CGO কমপ্লেক্স থেকে হাসপাতাল যাওয়ার সময়ই একথা বলেন তিনি। এদিন দেখা যায়, মন্ত্রী একা ভালো করে হাঁটতে পারছেন না। ইডির তরফে দুজন তাঁকে ধরে নিয়ে গাড়িতে তোলে। ওই দুজনের কাঁধেই ভর ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। গাড়িতে উঠেও দেখা গেল সিটে মাথা এলিয়ে দিলেন তিনি।
শুক্রবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়ার সময়ও শরীর ভালো না থাকার কথা জানিয়েছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেদিন তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, শরীর ভীষণ খারাপ। তাঁর বাম হাত ও পায়ে প্রায় পক্ষাঘাতের মতো হয়ে গিয়েছে। তাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন বনমন্ত্রী। মন্ত্রীর গ্রেফতারির সময়েও তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আইনজীবী। এমনকী কোর্টে তোলা হয়ে ইডি হেফাজতের রায় শুনে তিনি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। পরের কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হয় তাঁকে। মধুমেহ, রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা আছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। বালুর স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতি মামলায় পরতে পরতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মন্ত্রীর পরিচারক রামস্বরূপ শর্মার নামেও মিলেছে কোম্পানির খোঁজ। এদিকে কোম্পানি মালিক পরিচারকের দাবি, তিনি কিছুই জানেন না তাঁকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ইডি-এর দাবি, রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের থেকে ৯ কোটি টাকা কোনও সুদ ছাড়াই ঋণ নিয়েছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী খুব ধীর কণ্ঠে দাবি করেন, ‘সব গল্প।’