কাকলিতলা ব্যবসায়ী সমিতি
কাকলিতলা ব্যবসায়ী সমিতির এ বছরে তাদের পুজো এ বছরে ৫১ তম বছরে পদার্পণ করেছে। থিম ভাবনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে উমার আগমন। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে দুহাতের বদলে দশ হাতের কালী প্রতিমা দেখা যাবে। মণ্ডপের প্রবেশদ্বারেই করা হয়েছে বিভিন্ন মডেলের মুখোশ।
প্রগতি সংঘ
আদিবাসী সমাজের আদলে মণ্ডপ সজ্জা করেছে তৈরি করেছে প্রগতি সংঘ। ৬৮ বছরে পদার্পণ করলেও তাদের এই পুজো। মন্ডপ শয্যায় ব্যবহার করা হয়েছে পাটকাঠি,বিভিন্ন গাছের ছাল, নারকেলের মালা সঙ্গে রাখা হয়েছে বিভিন্ন মডেল। প্রতিমাতেও রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। দেবীর দুপাশে স্থান পেয়েছে পৌরানিক চরিত্ররা।
গোহাট মেলাতলা ব্যবসায়ী সমিতি
গোহাট মেলাতলা ব্যবসায়ী সমিতি এবছরের থিম করেছে শান্তময় নিরাময়। উদ্যোক্তাদের মতে করোনাকালে জীবন থেকে যে রামধনুর সাতটি রং হারিয়ে গিয়েছিল তাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপে। ত্রিশ জন শ্রমিক মিলে একমাস ধরে বাঁশের টুকরো দিয়ে মন্ডপ নির্মাণ করেছেন। এখানে মা কালী দশ হাতে সকলকে আশীর্বাদ করছেন। থিম ভাবনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। বাজেট প্রায় ৮ লাখ টাকা।
মধ্যমপাড়া ব্যবসায়ী সমিতি
মণ্ডপ শয্যায় অভিনবত্ব ছোঁয়া নিয়ে এসেছে পান্ডুয়া মধ্যমপাড়া ব্যবসায়ী সমিতি এ বছরে তাদের পুজো ৫৭ বছরে পদার্পণ করেছে থিম ভাবনায় রাখা হয়েছে শ্যামা মায়ের চরণ তলে। থার্মোকল, কুলো ,বেত, দিয়ে মন্ডপ নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে এখানে নরমুন্ডের উপর দেবীর অধিষ্ঠান।
নীরদগড় সবুজ সংঘ
পান্ডুয়ার নীরদগড় সবুজ সংঘ এ বছর কেরলের নাথ মন্দিরের আদলে মন্ডপ নির্মাণ করেছে। পুজো ৭৩ বছরে পদার্পণ করেছে। ২৫ ফুট উচ্চতায় থাকবে প্রতিমা সেখানে পর্বত আরোহন করে প্রতিমা দর্শন করতে হবে দর্শনার্থীদের এছাড়াও থাকবে আলোর প্রদর্শনী। বাজেট প্রায় ছয় লক্ষ টাকা।
এরকমই আরও অনেক পুজোয় রয়েছে নানা থিমের ছোঁয়া। কালীপুজো উপলক্ষে জিটি রোডে ভিড় হয় খুব তাই যান নিয়ন্ত্রন করা হয় জিটি রোডে।
পান্ডুয়ায় কালী পুজো উপলক্ষে তৎপর পুলিশ। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম দেবীদল কুন্ডু জানান, পুজো উপলক্ষে জি টি রোডের উপর চারটি পুলিশ ক্যাম্প করা রয়েছে। পুজোর চার দিন জিটি রোডের ওপরে থাকবে নো এন্ট্রি। দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে জি টি রোডের উপরে বন্ধ করা হয়েছে টোটো,অটো। থাকছে ২৭৫ জন পুলিশ কর্মী, ৩০০ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার। থাকছেন একজন ইন্সপেক্টর ও ডিএসপি, পদমর্যাদার অফিসার। বিসর্জনের দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ড্রোনে নজরদারি চালানো হবে। পুজোর চার দিন সম্পূর্ণভাবে ডিজে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও পুজো কমিটি ডিজে বাজালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
পান্ডুয়া বিডিও শ্রাবন্তী বিশ্বাস জানান,’কালীপুজোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়েছে। ১২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত হবে পুজো। ১৫ তারিখ শোভাযাত্রা সহকারে হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। ঘাট গুলিতেও বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।ছোটদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে চিলড্রেন কার্ডের । কোন শিশু ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে তারা যাতে সঠিকভাবে বাড়ি পৌঁছাতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা।’
পান্ডুয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন,’এ বছর পান্ডুয়া কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে ৪৭ টি পুজো হচ্ছে। প্রতিটা পুজো কমিটিকে ডিজে বক্স বাজানো সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’