West Bengal Police : ‘বায়ু দূষণ এড়াতে বাজি পোড়াবেন না!’ রাজ্য পুলিশের ফেসবুক পোস্টে বার্তা শাহরুখের – west bengal police new facebook post to avoid firecrackers


কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব, আর আলোর উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আতসবাজি। তবে বায়ু দূষণ এড়াতে বারেবারই সবুজ বাজি পোড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এমনকী বাজি বিক্রেতারা যাতে একমাত্র সবুজ বাজিই বিক্রি করেন, সেই জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। আর এবার কার্যত বাজি বর্জনের আবেদন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট রাজ্য পুলিশের।

কী আছে পোস্টে?
রাজ্য পুলিশের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে অভিনেতা শাহরুখ খানের সিনেমার ২টি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। ভিডিয়োর প্রথম অংশ দেখা যাচ্ছে পরিষ্কার নির্মল পরিবেশ, আর দ্বিতীয় ভাগে ধোঁয়া-দূষণ ঘেরা পরিবেশ। আর ভিডিয়োর শেষে দূষণকে ‘না’ বলার বার্তা দেওয়া হয়েছে।


সেই ভিডিয়োটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপুলিশের পেজে পোস্ট করার পর থেকেই প্রচুর শেয়ার হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পোস্টটিটে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। রাহুল নন্দী নামে এক ইউজার লিখেছেন, ‘আপানরা ১৫ বছরের পুরনো বাইগুলো চালানো রাস্তায় বন্ধ করুন।’ বিক্রম মণ্ডল নামে আরও এক ইউজার লিখেছেন, ‘এই রকম একটা পোস্ট হ্যাপি নিউ ইয়ারে দেখতে চাই।’

প্রসঙ্গত, দীপাবলিতে বাজির পোড়ানোর বিরুদ্ধে বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রচার চালাচ্ছে বিভিন্নমহল। রাজ্য সরকারও বারেবরেই সবুজ বাজি পোড়ানোর কথাই বলছে। এমনকী শব্দবাজির বিরুদ্ধে লাগাতার চালানো হয় অভিযান। চলে ধরপাকড়ও। এদিকে আবার এরই মাঝে শব্দবাজির ডেসিবেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয় রাজ্যে। ৯০ থেকে সেটিকে বাড়িয়ে করা ১২৫ ডেসিবেল। বিষয়টি ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সবুজ মঞ্চের তরফে মামলা করা হাইকোর্টে।

এদিকে এই বিষয়ে সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় এই সময় ডিজিটালকে জানান, এতদিন বাজির প্রধান উপাদান ছিল বেরিয়াম বা সোডা, গন্দক ও কাঠকয়লা। তবে এখন ওই বেরিয়াম বা সোডার পরিবর্তে অন্য কেমিক্যাল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আর এই বেরিয়াম ছাড়া বাজিকেই মূলত বলা হচ্ছে সবুজ বাজি। আর এতে দূষণের মাত্রা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যাচ্ছে বলেই জানান তিনি। আর নতুন উপাদান ব্যবহারের ফলে বাজির দামেও খুব বেশি পার্থক্য হয়নি বলেও জানান সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান। যদিও এতকিছুর পরেও দীপাবলিতে অবশ্য শব্দবাজির দাপট কমানো যায়নি। সন্ধ্যা হতেই নানা শহর কলকাতা ও জেলায় জেলায় ভেসে শব্দবাজির আওয়াজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *