কী জানা যাচ্ছে?
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এতদিন বাড়ির রান্না করা খাবার দেওয়া হতো। বাড়ির লোক আগে সেই খবর চেখে দেখাতেন, তারপর সেই খাওয়ার দেওয়া হতো প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন এরকম নিয়মই চলে আসছিল। তবে জেল হেফাজতে থাকাকালীন তিনি কোন খাবার খাবেন সেই প্রশ্ন ওঠে।
বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট খাবার চার্ট অনুযায়ী খাওয়া দাওয়া করেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, পাশাপাশি, কিডনির সমস্যাতেও ভোগেন তিনি৷ সেই কারণে জেলের খাবার খেলে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা আরও বাড়তে পারে, এই ভেবে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁর আইনজীবী। এরপরেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত।
সোমবার, ব্যাঙ্কশাল আদালতে বিশেষ রিপোর্ট জমা দেয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে জানানো হয়, জেলে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খাওয়ার পরিকাঠামো আছে৷ সুতরাং, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট চার্ট অনুযায়ী তাঁকে খাবার দেওয়া সম্ভব। এরপরেই জেলের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর তাঁকে আদালতে পেশ করার সময়ই হঠাৎ এজলাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইডি হেফাজতে যাওয়ার আগেই তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর রবিবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। ইডি দফতর থেকে বের হলেই নিজের অসুস্থতার কথা জানান তিনি। গতদিনেই তাঁকে মন্তব্য করতে শোনা যায়, ‘মারা যাব। শয্যাশায়ী হয়ে পড়ছি।’
রবিবার তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এর মাঝেও তাঁকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ইডি। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এখনও জোরকদমে তল্লাশি যাচ্ছে ইডি।