এরমধ্যে কুণাল ও তাঁর আত্মীয়-পরিচিতদের নামে ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে ১৪টি দামি গাড়ি ও ১২টি ফ্ল্যাট, ভিলা বা রিসর্ট। ইডি সূত্রের দাবি, স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে গোয়ায় একটি ভিলা ও একটি রিসর্ট এবং কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে ১০টি ফ্ল্যাট বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আর কোথায় কোথায় কুণাল ও তাঁর পরিবার-পরিজনদের নামে কী কী সম্পত্তি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, ভুয়ো কলসেন্টার খুলে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আয় হওয়া অর্থ দিয়েই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কেনা হয়েছে।
কুণালের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, কলকাতা, সল্টলেক-সহ বিভিন্ন প্রান্তে ভুয়ো কলসেন্টার খুলে ইউএসএ, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিককে বিভিন্ন অছিলায় প্রতারণা করার। ওই সব দেশের নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া, লোন পাইয়ে দেওয়া অথবা নতুন ওয়েবসাইট খুলতে সাহায্য করার নামে প্রতারণার কারবার চালিয়েছেন কুণাল ও তাঁর সংস্থা।
বিধাননগর কমিশনারেটের দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে ইডি আলাদা করে ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট) রুজু করে তদন্ত শুরু করে। ১০ সেপ্টেম্বর কুণালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তখন তদন্তকারীদের নজরে আসে, শুধু ভুয়ো কলসেন্টার নয়, বেআইনি অ্যাপের মাধ্যমে বেটিং ও জুয়ার কারবার চালিয়েও বহু মানুষকে ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছেন তিনি।
শুধু মেট টেকনোলজিস নয়, নিজের আত্মীয়-পরিচিতদের নামে অনেকগুলি সংস্থা খুলে তিনি বেআইনিভাবে বাজার থেকে তোলা কোটি কোটি টাকা সেখানে ইনভেস্ট করেছেন। শুধু দামি গাড়ি বা সম্পত্তি কেনা নয়, রেসের মাঠে তাঁর ৩৫টি ঘোড়াও রয়েছে বলে এর আগে আদালতে তথ্য পেশ করেছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীদের হিসাব অনুযায়ী, প্রতারণার অঙ্কটা প্রায় ১২৬ কোটি টাকা।