কী জানা যাচ্ছে?
দীপাবলি ও কালীপুজোয় যখন ব্যস্ত ছিলেন সকলে। তখন শিলিগুড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় একাধিক এলাকায়। শহরে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে নাজেহাল হয়েছেন দমকলকর্মীরা। রবিবার রাতে শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে প্রথম আগুন লাগে। সেখানে আগুনে দুটি বড় পোশাকের দোকান পুড়ে গিয়েছে। দীপাবলির জন্য সন্ধ্যায় দোকানগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ রাত ৯ টা নাগাদ দোকান থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর দমকল খবর পেয়ে পৌঁছয়।
একাধিক জায়গায় অগ্নিকাণ্ড
আগুনে দুটি দোকান পুরোপুরিভাবে পুড়ে যায়। বেশকিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। তবে দোকান বন্ধ ছিল। ফলে কীভাবে আগুন লাগলো তা জানা যায়নি। শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে কয়েকশো দোকান রয়েছে। আগুনের ঘটনায় আতঙ্কে ছুটে আসেন সকল ব্যবসায়ীরা। মাঝরাত অবধি এলাকায় আতঙ্ক ছিল। মার্কেট কমিটির সম্পাদক খোকন ভট্টাচার্য জানান, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা কালীপুজোর রাতে। দুটি কাপড়ের দোকান পুড়ে গিয়েছে। দোকানের সব মাল পুড়ে ছাই গিয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, দমকলকর্মীরা সময়মতো এসেছিলেন বলে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। নাহলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত।
এদিকে রাত ১১ টা নাগাদ খালপাড়ার এমজি রোডে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়ির ছাদে থাকা সামগ্রী থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অনুমান বাজি থেকে আগুন লেগেছে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নেভায়। সেবক রোড সংলগ্ন মহাকালপল্লীতেও একটি বাড়িতে আগুন লাগে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে রাতেই আগুনের খবর পেয়ে এলাকাগুলিতে পৌঁছন পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব। পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন ও পুলিশ, দমকল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসেই শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি চৌরঙ্গী এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ৬০টির বেশি দোকান পুড়ে যায়। নকশালবাড়ি দমকল বিভাগের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।