কী জানা যাচ্ছে?
বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইআটির ফ্ল্যাটটিতে গত প্রায় দু’বছর ধরে কাউকে ভাড়া দেওয়া কেন হয়নি, তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। বাড়ির মালিক চিকিৎসক গোপাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগে একটি নেপালি দম্পতি ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা ভাড়া নিয়েছিলেন ওই ফ্ল্যাটটি। এরপর গত দুবছর আগে থেকে তারা হঠাৎ উধাও হয়ে যান। যদিও, ভাড়া বাড়ি ছেড়ে গেলেও মালিককে তাঁরা যথা সময়ে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। শেষ তিন মাস তারা ভাড়া দেননি।
চলছে তদন্ত
তিনমাস ধরে ভাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বাড়ির মালিক ধরেই নিয়েছিলেন তারা আর ফিরবেন না। বাধ্য হয়ে ঘরের তালা ভেঙে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শুরু করেন বাড়ির মালিক। সেই সময়ই মঙ্গবার একটি ড্রামের ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ পান তিনি। ড্রামটির মুখ সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা ছিল। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই বাড়ির মালিক। ড্রাম থেকে এরপর ওই কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনার তদন্তে নেমে বাড়ছে রহস্য।
পুলিশ সূত্রে কী খবর?
পুলিশের ধারণা, যারা ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়েছিলেন, তারাই ওই দেহ ড্রামে পুড়ে রেখে দিয়ে যেতে পারেন। কেউ কিছু না বোঝার কারণে মালিককে নিয়মিত ভাড়া দিয়ে যেতেন। বছর দুয়েক পার হয়ে যাওয়ার পর সেটাও দেওয়া বন্ধ করে দেন। ভাড়া নেওয়া ব্যাক্তিদের নাম, ফোন নম্বর পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন ওই বাড়ির মালিক। যদিও, ফোন নম্বর বর্তমানে বন্ধ থাকায় ওই দম্পতিকে খুঁজতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জগৎপুর বাজার সংলগ্ন একটি বাড়ির ভাড়া ঘর থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। জগৎপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা যথেষ্ট জনবহুল। একাধিক বাড়িতে ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক গোপাল মুখোপাধ্যায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার সকালে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই চিকিৎসক। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ খুন, ২০১ তথ্য প্রমাণ লোপাট ধারায় মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।