Birbhum News : পিতা-পুত্রের ঝগড়ায় খিস্তির ফুলঝুরি! প্রতিবাদ করায় আত্মহত্যা, তুলকালাম কাণ্ড মুরারইতে – birbhum murarai man commits suicide and his 3 sons attacked on neighbors


বাবা-ছেলের ঝগড়ায় অশ্লীল ভাষায় গালাগালির প্রতিবাদ করেছিলেন প্রতিবেশী। তার পরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বাবা। আর সেই আক্রোশেই প্রতিবাদী প্রতিবেশীর ওপর হামলা মৃতের তিন ছেলের। ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ। প্রতিবাদীর ওপরে আক্রমণের অভিযোগ উঠেল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। অস্ত্রের আঘাতে পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গুরুতর জখম ওই প্রতিবেশী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত আরও ২। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানার বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামে। প্রত্যেককেই উদ্ধার করে প্রথমে মুরারই গ্রামীণ হাসাপাতালও পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।

জানা গিয়েছে, বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা আজাহার শেখের সঙ্গে তাঁর ছেলে মালেক শেখের বচসা হচ্ছিল। ঝগড়া চলার সময় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও চলছিল উভয়ের মধ্যে। সেই গালিগালাজেরই প্রতিবাদ করেন প্রতিবেশী মর্জিনা বিবি। এরপরই আজাহার শেখ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্রামের পাশের একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। অভিযোগ, সেই আক্রোশে আজহারের শেখের ছেলে মালেক শেখ, এমদাদুল শেখ ও সিরাজুল শেখ ধারাল অস্ত্র নিয়ে মর্জিনা বিবির উপর হামলা চালায়। তাঁর পেটে ধরাল অস্ত্রের কোপ মারা হয়।

সেই সময় হামলাকারীদের হাত থেকে মর্জিনাকে বাঁচাতে যান তাঁর মেয়ে, স্বামী দুলাল সেখ ও মা মহিমা বিবি। অভিযোগ, দুলাল শেখের পেটেও ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে হামলকারীরা। অস্ত্রের কোপ মারা হয় মহিমা বিবি বাম হাতেও। তার বাম হাতের অনেকটা অংশ কেটে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার নিয়ে যান। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকেই রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছে।

এই বিষয়ে আহত মাহিমা বিবির স্বামী জানাচ্ছেন, নেশা করে মালেক শেখ ও আহাজার শেখের মধ্যে বিবাদ চলছিল। একইসঙ্গে গালাগালিও চলছিল উভয়ে মধ্যে। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে কোনও বিবাদ ছিল না আজহারদের। কিন্তু মর্জিনাকে সেই গালাগালির প্রতিবাদ করে। পরে আজহার আত্মহত্যা করতেই মর্জিনার ওপর হামলা চালায় মালেক শেখ, এমদাদুল শেখ এবং সিরাজুল শেখ। এদিকে খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় মুরারই থানার পুলিশ। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করার খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *