Domestic Violence : ভাইফোঁটায় বাপেরবাড়ি যাওয়ার ‘সামান্য’ দাবি, বধূকে মর্মান্তিক ‘শাস্তি’ স্বামীর – diamond harbor police investigating domestic violence case for a housewife unnatural death


ভাইফোঁটার দিনে নিজের ভাই বা দাদাকে ফোঁটা দিতে যাওয়ার বাসনা থাকে প্রত্যেক বিবাহিত মহিলারই। কিন্তু সেই বাসনার এরকম মর্মান্তিক পরিণতি হবে ভাবতে পারেননি কেউ। ভাইফোঁটা দিতে বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে বচসা। তার জেরে খুন হতে হল এক গৃহবধূকে। এমনই অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারে। মৃত মহিলার নাম সুমিতা মণ্ডল।

কী জানা যাচ্ছে?

ভাইফোঁটা দিতে বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসা বাধে ওই গৃহবধূর। এরই জেরে গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ডায়মন্ড হারবার থানার অম্বলহাড়া এলাকায়। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

কী ভাবে ঘটল ঘটনা?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ বছর আগে মন্দির বাজারের বিদ্যাধরপুর এলাকার বাসিন্দা সুমিতা মণ্ডলের সঙ্গে ডায়মন্ডহারবারের অম্বল হাড়ার বাসিন্দা ছট্টু হালদারের বিয়ে হয়। মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের টাকা চেয়ে প্রায়ই অশান্তি করত স্বামী ছোট্টু হালদার। এমনকি বিয়ের তিন বছর হয়ে গেলেও তাঁদের কোনও সন্তান না হওয়ায়, গত সোমবার বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর দেন প্রতিবেশীরা। এ নিয়েই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রাথমিক বচসা শুরু হয়। পরে ওই গৃহবধূ ভাইফোঁটা দিতে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্বামীকে জানালে তা নিয়েও বচসা শুরু হয় বলে অভিযোগ

মৃতের বাপেরবাড়ির সদস্যের অভিযোগ কী?

তাঁদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাপের বাড়িতে ফোন করে জানায়, তাঁদের মেয়ে বিষ খেয়েছে। ঘটনার পর বাপের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে গেলে সুমিতা বাপেরবাড়ির লোকজনকে জানায় তাঁর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন জোর করে তাকে বিষ খাইয়ে দিয়েছে। বুধবার ভোর রাতে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।

Bankura News : ১০ দিনের সদ্যোজ্যাত কোলে কুয়োয় ঝাঁপ বধূর! দুই বাড়ির টানাপোড়েনে ঘনাচ্ছে রহস্য
ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাপেরবাড়ির লোকজন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তাঁরা। অন্যদিকে, দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া গৃহবধূর বাপের বাড়িতে। দিদির থেকে আর ভাইফোঁটা নেওয়া হবে না আক্ষেপ রয়েছে ভাইয়ের। ভাই সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, আমার দিদিকে ওরা অত্যাচার করে এভাবে মেরে দিল। আমি চাই ওদের কঠোর শাস্তি হোক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *