ঠিক কী ঘটনা?
প্রতিবাদী মহিলাকে মারধরের অভিযোগ কয়েকজন তরুণীর বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। ইএম বাইপাস সংলগ্ন সল্টলেক দত্তাবাদ অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। বাইপাস সংলগ্ন এই অঞ্চলের কিছু রেস্তঁরায় প্রত্যেক রাতে নিয়মিত ভিড় জমান যুবক যুবতীরা।
একইভাবে সোমবার রাতে বেশ কয়েকজন যুবক-যুবতী চার চাকা গাড়িতে করে একটি রেস্তঁরায় আসেন। অভিযোগ, তিনজন যুবতী ওই রেস্তঁরার পিছনের দিকে দত্তাবাদ অঞ্চলের একটি বাড়ির সামনে রাস্তায় প্রস্রাব করেন। তরুণীদের রাস্তায় প্রস্রাব করতে দেখে প্রতিবাদ করেন টুম্পা মজুমদার নামে দত্তাবাদ এলাকার এক বাসিন্দা। তরুণীদের বাধা দিতে যান তিনি। তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে।
প্রতিবাদী মহিলার অভিযোগ, তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা ও মারধর শুরু করেন ওই তরুণীরা। ওই মহিলাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন তাঁর স্বামী। অভিযোগ, তখন তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়। অন্যদিকে পালটা মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ করেছেন ওই তরুণীরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিধান নগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের দুই পক্ষের। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
কী বলছেন আক্রান্ত মহিলা?
টুম্পা মজুমদার নামে আক্রান্ত ওই মহিলা বলেন, ‘আমি রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমোতে এসেছিলাম। বাড়ির বাইরে দরজা আটকাতে গিয়ে দেখি তিন মহিলা সেখানে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করছেন। আমি তখন জিজ্ঞেস করি যে আপনারা এখানে কী করছেন? তখনই বুঝতে পারি তিনজনই মদ্যপ অবস্থায় রয়েছে। প্রস্রাব করতে নিষেধ করার পরই আমাকে অকথ্য গালিগালাজ করে। মারধর করা হয়। মাটিতে ফেলে পায়ে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। আমার স্বামী বাঁচাতে এসেছিলেন, ওদের সঙ্গে থাকা ছেলেরা তাঁকে মারধর করে। আমরা পুলিশ, স্থানীয় পুর প্রতিনিধি ও বিধায়ককেও জানিয়েছি। আমাদের নামে পালটা অভিযোগ দায়ের করা হয়ে। কিন্তু আমরা কোনও মারধর বা হেনস্থা করিনি।’ তবে এখনও অবধি অপরপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গোটা বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই খবর।
