ঠিক কী ঘটনা?
সকাল ১১ টা নাগাদ ওই ফলের গোডাউনে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। আগুন লাগলে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় ফলের গোডাউনটি। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন এবং ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় কোনওরকমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি, আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পাঁশকুড়ার দমকল কেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বহুমূল্য দামী জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে দমকল সূত্রে খবর। ভাইফোঁটার সকালে কী ভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে দমকল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাঁশকুড়ার পুরসভার প্রশাসকও।
কী বলেছে প্রশাসন ও দমকল?
ঠিক কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, সেই নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত তমলুক ফায়ার স্টেশনের এক দমকলকর্মী একে ঘোষ বলেন, ‘ঠিক কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, এখনই বলা যাবে না। তদন্ত করে দেখতে হবে। তবে আগুনের ভয়াবহতা খুব বেশি ছিল না। ফলের পেটি থাকার কারণ আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তমলুক ফায়ার স্টেশন থেকে বিশেষ গাড়ি নিয়ে আসা হয়। তাই আগুন আর ছড়িয়ে যেতে পারেনি। ঘনবসতি রয়েছে, সময়মতো পদক্ষেপ না করলে আগুন আরও ছড়িয়ে যেত।’
পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আজ ভাই ফোঁটা, তাই সকাল সকাল বোনের বাড়িতে ফোঁটা নিতে চলে গিয়েছিলাম। সেখানেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা জানতে পারি। শোনা মাত্রই ছুটে আসি। এসে দেখি দমকল আধিকারিকরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন৷ এর জন্য ধন্যবাদ জানাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি যদি পাঁশকুড়ায় দমকলকেন্দ্র না গড়ে তুলতেন, তবে এই আগুন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারত। তবে চিন্তার কিছু নেই আমরা দোকান মালিকের পাশে আছি।’