Fire Accident : ভাইফোঁটায় ধ্বংস স্বপ্ন! পুড়ে ছাই গোডাউন, ‘নিঃস্ব’ পাঁশকুড়ার ব্যবসায়ী – purba medinipur fire incident pashkura shop completely burnt


ভাই ফোঁটার সকালে ঘটলো অঘটন। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাহারগ্রাম এলাকার পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার লাগোয়া এক ব্যবসায়ীর ফল আড়তের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ঠিক কী ঘটনা?

সকাল ১১ টা নাগাদ ওই ফলের গোডাউনে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। আগুন লাগলে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় ফলের গোডাউনটি। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন এবং ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় কোনওরকমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি, আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পাঁশকুড়ার দমকল কেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বহুমূল্য দামী জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে দমকল সূত্রে খবর। ভাইফোঁটার সকালে কী ভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে দমকল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাঁশকুড়ার পুরসভার প্রশাসকও।

কী বলেছে প্রশাসন ও দমকল?

ঠিক কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, সেই নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত তমলুক ফায়ার স্টেশনের এক দমকলকর্মী একে ঘোষ বলেন, ‘ঠিক কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, এখনই বলা যাবে না। তদন্ত করে দেখতে হবে। তবে আগুনের ভয়াবহতা খুব বেশি ছিল না। ফলের পেটি থাকার কারণ আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তমলুক ফায়ার স্টেশন থেকে বিশেষ গাড়ি নিয়ে আসা হয়। তাই আগুন আর ছড়িয়ে যেতে পারেনি। ঘনবসতি রয়েছে, সময়মতো পদক্ষেপ না করলে আগুন আরও ছড়িয়ে যেত।’

Siliguri News : কালীপুজোর রাতে শিলিগুড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই একাধিক দোকান
পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আজ ভাই ফোঁটা, তাই সকাল সকাল বোনের বাড়িতে ফোঁটা নিতে চলে গিয়েছিলাম। সেখানেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা জানতে পারি। শোনা মাত্রই ছুটে আসি। এসে দেখি দমকল আধিকারিকরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন৷ এর জন্য ধন্যবাদ জানাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি যদি পাঁশকুড়ায় দমকলকেন্দ্র না গড়ে তুলতেন, তবে এই আগুন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারত। তবে চিন্তার কিছু নেই আমরা দোকান মালিকের পাশে আছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *