ISF ছেড়ে তৃণমূলে যোগ
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরেও ভাঙড়ে আইএসএফের ভাঙন অব্যাহত। একে একে আইএসএফের নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে দাবি তৃণমূলের। মঙ্গলবার ফের ধাক্কার মুখে পড়তে হল নওশাদ সিদ্দিকির দলকে।
ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা ও ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের আইএসএফ নেতা মহম্মদ ইদ্রিশ মোল্লা। তিনি চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কৃষ্ণমাটি গ্রামের আইএসএফের বুথ সভাপতি ছিলেন। এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।
TMC-তে যোগ দিয়ে ISF-কে তোপ
সওকত ও আরাবুলের হাত থেকে শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পরই প্রাক্তন দলকে নিশানা করেছেন দলত্যাগাী আইএসএফ নেতা। ইদ্রিশ বলেন, ‘গ্রামের উন্নতির জন্যf আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। এতদিন এই এলাকায় কোন উন্নতি করতে পারেনি আইএসএফ। তৃণমূল যে ভাবে গোটা রাজ্যে উন্নতি করছে, তাতে আমাদের এলাকায় উন্নতি হবে। এই আশায় আমি তৃণমূলে যোগদান করেছি।’
বিধায়ক নওশাদকে নিশানা করেছে তৃণমূল নেতৃ্ত্ব। বিধায়ক ও ভাঙড়ে দলের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লা বলেন, ‘আইএসএফের বিধায়ক হয়ে বসে আছেন। কিন্ত নওশাদ সিদ্দিকির কোনও কিছু করার ক্ষমতা নেই। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর গত আড়াই বছরে তিনি ভাঙড়কে আরও পিছিয়ে দিয়েছেন। এলাকার উন্নয়নে কোনও মন নেই। আগামী দিনে এই এলাকায় তৃণমূলের শক্তি আরও বাড়বে।’
অভিষেককে চ্যালেঞ্জ নওশাদের
ডায়মন্ডহারবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছে প্রকাশ করে সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছেন নওশাদ। তাঁকে হারিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে নওশাদের মুখে। আইএসএফ বিধায়ককে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে বাম-কংগ্রেস। প্রশংসা শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকার গলায়। নওশাদের পালটা অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি থাকতে ধর্মের নামে ডায়মন্ডহারবারের মানুষকে ভাগ হতে কিছুতেই দেবেন না। আগামী লোকসভা ভোটের আগে ডায়মন্ডহারবার নিয়ে পারদ আরও চড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।