কী ঘটনা?
আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে স্পিরিট। নকল মদ ব্যবসায়ীদের কাছে এই স্পিরিটেরই সাংকেতিক নাম ‘কাঁচাপানি’। সংগ্রহ করা এই স্পিরিট দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে নামী কোম্পানির মদ। স্থানীয় দোকানগুলির পাশাপাশি বিহারেও এই মদ সরবরাহ করা হত বলেই সন্দেহ আবগারি দফতরের।
শিলিগুড়িতে নকল মদ তৈরির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গত রবিবার আবগারি দফতরের প্রধানগর ও বাগডোগরা সার্কেলের আধিকারিকরা যৌথভাবে নকশালবাড়ি থানার কুটিয়াজোতে অভিযান চালিয়ে নকল মদের কারখানা সিল করে। কুটিয়াজোতের একটি বাড়িতে কারখানা খুলে রমরমিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল নকল মদ। ওই কারখানা থেকে তিন হাজার লিটার নকল মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুধু নকল মদই, বিভিন্ন নামীদামি কোম্পানির মদের বোতলের ১০ হাজার ক্যাপ ও চার হাজার লেবেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, অসম, মণিপুর সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে চোরাপথে ওই স্পিরিট এখানে নিয়ে আসা হত, যা স্থানীয়ভাবে কাঁচাপানি নামে পরিচিত। ওই স্পিরিটের সঙ্গে জল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল নকল মদ। মদ তৈরি হয়ে গেলে, নামীদামি কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে তা গোপনে স্থানীয় বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল।
কী বলছে আবগারি দফতর?
দার্জিলিংয়ের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর শরণ্য বারিক বলেন, ‘সূত্র মারফত আমাদের কাছে খবর এসেছিল। খবর পাওয়ার পরই ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে থেকে বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ক্যাপও। ওই বাড়িতেই নকল মদ তৈরি করা হত। কারখানা সিল করে দেওয়া হলেও সেখান থেকে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। বাড়ির মালিক আগেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য মিলেছে। সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছে আবগারি দফতর।