এই সময়: জেলে আসা ইস্তক তাঁর ঠাঁই হয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের সাত নম্বর সেলে। আদালতের নির্দেশ মেনে সেখানে যা যা বন্দোবস্ত করার দরকার, করা হয়েছে রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর জন্য। ওই ওয়ার্ডেই আলাদা আলাদা জায়গায় আছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহারা। বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার দিনটাও অনেকটা নিস্তরঙ্গই কাটল তাঁদের।
সংশোধনাগার সূত্রের খবর, যে সব জেলবন্দির পরিবারের তরফে বোনেরা ভাইফোঁটা দিতে চান, তাঁদের আগে থেকে আবেদন জানাতে হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। সেইমতো এদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জনা দশেক বন্দির পরিবারের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। ভিজ়িটিংয়ের সময়ে জেলবন্দি দাদা-ভাইদের কপালে ফোঁটা দেন বোনেরা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কিছু খাবারও এনেছিলেন তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, যেসব বন্দির পরিবারের তরফে বোনেরা ভাইফোঁটা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে তথাকথিত ‘হেভিওয়েট’ কেউ ছিলেন না।
সংশোধনাগার সূত্রের খবর, যে সব জেলবন্দির পরিবারের তরফে বোনেরা ভাইফোঁটা দিতে চান, তাঁদের আগে থেকে আবেদন জানাতে হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। সেইমতো এদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জনা দশেক বন্দির পরিবারের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। ভিজ়িটিংয়ের সময়ে জেলবন্দি দাদা-ভাইদের কপালে ফোঁটা দেন বোনেরা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কিছু খাবারও এনেছিলেন তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, যেসব বন্দির পরিবারের তরফে বোনেরা ভাইফোঁটা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে তথাকথিত ‘হেভিওয়েট’ কেউ ছিলেন না।
এদিন বালু ছিলেন নিজের সেলেই। সংশোধনাগারের এক আধিকারিক জানান, জ্যোতিপ্রিয়র তরফে আইনজীবীরা আদালতেই তাঁর ডায়াবিটিসের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁকে কী ধরনের খাবার দেওয়া হবে, তা আদালতই ঠিক করে দিয়েছে। সেই অনুযায়ীই খাবার খেয়েছেন বালু। এদিন তাঁর সঙ্গে কেউ দেখাও করতে আসেননি। ফলে একরকম একাই নিজের সেলে কাটিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। জেলের মধ্যেও সেভাবে কারও সঙ্গে দেখা করছেন না তিনি। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর প্রথম দফার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।