Saifuddin Laskar : সুপারি দিল কে? জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে তরজা শাসক-বিরোধীর – the murder of trinamool leader saifuddin lashkar in jayanagar is gradually increasing the political tension


এই সময়, জয়নগর: জয়নগরে তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের খুনের পিছনে কার হাত? সেই প্রশ্নে ক্রমেই উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতির। মঙ্গলবারই ওই খুনে অভিযুক্ত শাহারুল শেখ অভিযোগ করেছিল, বড়ভাই ওরফে নাসির এই খুনের সুপারি দিয়েছিল। এ দিন সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘একজন সিপিএম নেতা সুপারি দিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুন করিয়ে দেবে! পুলিশ তদন্ত করছে, বেশি কিছু বলতে চাই না। ঘর পোড়ানোকে আমরা সমর্থন করি না। খুন থেকে নজর ঘোরানোর জন্য ঘর পোড়ানো হল কিনা পুলিশের দেখা উচিত।’

পুরমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা ময়দানে নেমে পড়ে বিরোধীরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তদন্তকে প্রভাবিত করার জন্যই কি পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়ার আগে মন্ত্রী ভাষণ দিলেন? যে ধরা পড়েছে আর যে ধরা পড়ার পর মারা গিয়েছে দু’জনেই তৃণমূল করে বলে তাদের পরিবারের লোক বলছে। গ্রামে কারা আগুন দিয়েছে তা-ও গ্রামের লোক বলছে।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের মারামারি হয়েছে কিনা তা পুলিশের হাবভাব দেখলেই বোঝা যায়।’ সরাসরি জয়নগরের উল্লেখ না করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এ দিন বলেন, ‘রাজ্যের কিছু অঞ্চলে যে অপরাধের কাজকর্ম হচ্ছে তার ইতি হওয়া প্রয়োজন।’ ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত হলে তবেই জানা যাবে কে খুনি।’

অন্যদিকে, খুনের ঘটনার পর পুরুষশূন্য হয়ে যাওয়া দোলুয়াখাকি গ্রামের অধিকাংশ মহিলা আশ্রয় নিয়েছিলেন দক্ষিণ বারাসতের সিপিএমের দলীয় কার্যালয়। অবশেষে বুধবার সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। এ দিন পার্টি অফিসে আশ্রয় নেওয়া ১৮ জন মহিলা ও ৬টি শিশুকে অটোতে চাপিয়ে দলের মহিলা সংগঠনের সদস্যদের দিয়ে গ্রামে পাঠানো হয়। গ্রামে ঢোকার আগেই পুলিশ ওই সিপিএম নেত্রীদের আটকে দেয়। একে একে নিজেদের বসত ভিটেতে ফিরে যান সর্বস্বান্ত মহিলারা। মানসুরা বিবি নামে এক মহিলা বলেন, ‘সেই তাণ্ডবের দৃশ্য জীবনে ভুলব না। দল থেকে দেওয়া হাঁড়ি-কড়া, জামাকাপড় নিয়ে আমরা বাড়িতে ফিরতে পেরেছি। কিন্তু থাকব কোথায়?’

Jaynagar Incident : ‘সুপারি কিলার লাগিয়েছে’, জয়নগরের ঘটনায় দাবি শওকতের! পালটা সিপিএম
সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের ক্ষেত্রে পুলিশের ছাড় থাকলেও বামেদের ক্ষেত্রে গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার আবার অভিযোগ করে বলেন, ‘সাইফুদ্দিন দক্ষ সংগঠক ছিল। নিজেদের জায়গা করতে সিপিএম কর্মী আনিসুর রহমান লস্করকে দিয়েই কান্তি গাঙ্গুলী ও সুজন চক্রবর্তী এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। অবিলম্বে কান্তি ও সুজনকে গ্রেপ্তার করা দরকার।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *