Sarasari Mukhyamantri Phone Number: জাতীগত শংসাপত্র থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতে সমস্যা! কখন-কোথায় ফোন করবেন? জানুন – sarasari mukhyamantri helpline number for west bengal citizen


বছর ঘুরলেই বেজে যাবে লোকসভা ভোটের দামামা। দেশের মসনদে কে বসবেন, তার রাশ কিন্তু অনেকেটাই থাকবে গ্রাম বাংলার হাতে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর তৃণমূল সরকার। রাজ্য তথা জেলা প্রশাসন নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরেও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। নানান কারণে অনেক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হয় গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষকে। অনেক সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে জুতোর শুকতলা পাতলা হয়ে যায়। তবু মেলে না সমাধান।

এ সমস্যা মেটাতেই রাজ্যে চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’। পরে চালু হয় ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই কথা জানিয়েছিলেন। নবান্ন থেকেই এ বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এখানেই সরাসরি ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারছেন সাধারণ মানুষ। হচ্ছেও তাই। ফোন করে নিজেদের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারবেন সাধারণ মানুষ । জানা গিয়েছে, নয়া কর্মসূচি কাজ করছে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলের ধাঁচেই। স্বাভাবিকভাবেই এই নম্বরে ফোন করে বহু সমস্যা মিটে যাচ্ছে। হেল্পলাইন নম্বরটি হল- ৯১৩৭০৯১৩৭০। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা অবধি চালু থাকছে পরিষেবা।

জানা গিয়েছে, এই টিমের কাছে অভিযোগ এলেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং দ্রত সমস্যা বা অভিযোগ মেটানোর চেষ্টা করতে বলা হয়। জেলা প্রশাসনের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, এই টিম এতটাই সক্রিয় যে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আধিকারিক পর্যায়ে যোগাযোগ রেখে যান।

গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। আদতে এই ব্যবস্থা অনেকটা কলসেন্টারের আদলে। ২০১৯ সালে তৈরি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল। প্রথম দিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেউ নিছক গল্প করতে অথবা কেউ খুচরো নালিশ নিয়ে ফোন করেছিলেন। পরে যদিও এই নম্বরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে কাজও হয়। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা মানছেন, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে বেশ কিছু অভিযোগ আসছে। সেগুলি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার এই নম্বরে ফোন করে কেউ নিজের এলাকার রাস্তা চাইছেন, কেউ বা কালভার্ট বা ছোট ব্রিজের দাবি জানাচ্ছেন বলেও খবর। কেউ বা আবার আবেদন করছেন ‘সরকারি বাড়ি’র জন্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *