আদালতে ধাক্কা গেরুয়া শিবিরের
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। পান দোকানি অশোক সিংয়ের মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য। সেই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা সজল। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর আর্মহার্স্ট স্ট্রিট মামলায় এখনই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত নয়, বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দ্বিতীয় বা তৃতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ তখনই দেওয়া হয় যখন দেখা যায় যে দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে। কিন্তু এখানে সেটা নেই। ব্রেন হেমারেজের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।’
এদিন পুলিশি তদন্তের উপর কার্যত আস্থা প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও অবৈধ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। থানার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের তরফ থেকে যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করা হবে বলে আদালত আশা করে। এ ব্যাপারে খোদ পুলিশ কমিশনার দায়িত্ব নেবেন বলে মনে করে কোর্ট।’
এর পাশাপাশি মৃত অশোক সিংয়ের দেহ অবিলম্বে SSKM হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পরিবার এই মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন করতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। আগামী ২৩ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
কী বলছে বিজেপি?
আইনজীবী ও বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে মারপিটে কোনও চিহ্ন নেই। কোনও ব্যক্তিকে ধাক্কা বা চড় মারা হলে, কখনওই তা পোস্টমর্টেমে ধরা পড়বে না। ধাক্কা খেয়ে কোনও মানুষ পড়ে গিয়েই মরে যেতে পারেন। সেই সময় ব্রেন হেমারেজ হতেই পারে। কিন্তু সেটা কোনওভাবে স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আমরা সবটাই আদালতকে জানিয়েছি। পরবর্তী শুনানিতে আমরা আদালতকে বলব, তদন্তভার কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থার হাতে দেওয়া হোক। কারণ সিসিটিভি ফুটেজ বিকৃত করা হতে পারে, আমাদের এমন আশঙ্কা রয়েছে।’