ছট পুজোতে যে যার অঞ্চলে থাকতে হবে। রাজ্যের মন্ত্রীদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করতে হবে, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘাট পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার সারা রাজ্য জুড়ে পালিত হতে চলেছে ছট পুজো। ছট পুজোর দিন ঘাটগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতায় এবারে ছট পুজোর জন্য মোট ৩৯টি ঘাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে পরিবেশ গত কারণের জন্য রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজোর আয়োজন বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে রবীন্দ্র সরোবরের কাছে বিকল্প একটি ঘাটের প্রস্তুতি নিয়েছে কেএমডিএ।
যদিও, ছট পুজোর জন্য এর আগে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। গত দু বছর ধরে তাই ছট পুজোর দিন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখা হয় এই দুই ঘাটের কাছে। এবারেও দুই ঘাটের কাছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, পাশাপশি, পুণ্যার্থীদের জন্য ওই ঘাট থেকে জন্য ঘাটে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কলকাতার পাশাপাশি হুগলি নদীর উত্তরপাড়া থেকে বলাগড় পর্যন্ত গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটেও জোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, রিষড়ায় প্রেমমন্দির ঘাটে ছটপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুষ্ঠু ভাবে পুজোর আয়োজনের জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। রবিবার বিকেলে সূর্যাস্ত এবং সোমবার ভোরে সূর্যোদয়ের কারণে ছট পুজোর আয়োজন করা হবে। ঘাট গুলিতে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন করা, আলোকসজ্জা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ব্যবস্থাও করা হবে। শ্রীরামপুরে প্রায় ২০টি ঘাটে, ভদ্রেশ্বরে চারটি ঘাটে, চন্দননগরের ১১টি ঘাটে ছট পুজো করা হবে।