পুলিশের দাবি, তৃণমূল নেতা খুনে মাস্টারমাইন্ড আনিসুর রহমান। গতকাল তাদের পালানোর সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাণাঘাট থেকে গ্রেফতার করা তাদের। এদিন ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাদের ১১ দিনে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ২৮ নভেম্বর পরবর্তী হাজিরা।
জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ধৃত আনিসুর ও কামালউদ্দিনকে বারুইপুর থানা থেকে বের করে তাদের বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনকে খুনের ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন দুজনেই। থানা, হাসপাতালে কেউই মুখ খোলেননি সংবাদমাধ্যমের সামনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন খুনের মূল পরিকল্পনা আনিসুর ও কামালউদ্দিন ঢালি করলেও এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত আছে। তদন্তে প্রকাশ, এই ঘটনায় দুজন ব্যক্তির নাম উঠে আসছে, যারা তৃণমূল নেতা খুনে সুপারি সহ পুরো খরচ দেওয়ার কথা ছিল। পুরো অপারেশন এর জন্য ধার্য করা হয়েছিল ৫ লাখ টাকা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, খুনে পরিকল্পনায় অধরা মাস্টারমাইন্ড, বাকি দুজনের মধ্যে একজন সইফুদ্দিনের বাড়ির লোকও আছেন। এই দুজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
ধৃত আনিসুর ও কামালউদ্দিনকে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২, ১২০বি, ৩৪ আইপিসি ও ২৫, ২৭ আর্মস অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন যুক্ত বলে দাবি পুলিশের। এখনও পর্যন্ত তিনজন ধরা পড়লেও, বাকিরা এখনও পলাতক। তাদের সন্ধানে নানান জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। মোট ১১ জন দক্ষ পুলিশ অফিসার আছেন এই টিমে। শুক্রবারেও নানান জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে দোলুইখাঁকি গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে এখনও কোনও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। অন্যদিকে, দোলুয়াখাকিতে এদিন ত্রাণ পৌঁছাতে গেলে বাধার মুখে পড়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বহিরাগত কাউকেই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান ও ডেপুটেশন জমা দেন বিজেপি যুব মোর্চা। ঘটনার চারদিন পর এলাকায় ত্রাণ পৌঁছল প্রশাসন। জয়নগর ১ বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হয়। তবে সেই ত্রাণ পর্যাপ্ত নয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
