Kolkata Police : নিষিদ্ধ বাজি ফাটিয়ে বড় বিপদ! বিস্ফোরক আইন প্রয়োগ করে মামলা রুজু পুলিশের – kolkata police uses explosive act for bursting illegal crackers this festive season


২০১৯ থেকে ২০২৩, এই সময়সীমার প্রথমবার নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর জন্য বিস্ফোরক আইন প্রয়োগ করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, বিস্ফোরক আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় দুটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং এফআইআরের ভিত্তিতে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিগত দিন বছরে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রেতা, ডিস্ট্রিবিউটর ও পরিববহণকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার তাতে এসেছে বদল। কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি, আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিষিদ্ধ বাজি যাঁরা কিনবে ও ফাটাবে, তাঁদের বিরুদ্ধেও এই ধারাগুলি প্রয়োগ করা হবে।’

চলতি সপ্তাহে রবিবার ছিল কালীপুজো। রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে ৯০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৭ কেজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের থেকে যাঁরা নিষিদ্ধ বাজি ফাটাচ্ছিলেন। এমনকী সোমবার, অর্থাৎ কালীপুজোর পরের দিন বেআইনি ও নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর জন্য ৪১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ৮৩ জন পুলিশের সামনে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোয় অভিযুক্ত।

Diwali Firecrackers : কলকাতায় শব্দদৈত্যের বেশি তাণ্ডব আবাসনেই
কালীপুজোর দিন থেকে বেআইনি বাজি ফাটানোর জন্য ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫২৭। বুধবার কালী প্রতিমা বিসর্জনের দিনও বিশাল সংখ্যায় নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো হয়েছে। ওই একই দিনে বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে ভারত।

কোন আইনে গ্রেফতার

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ বেআইনি বাজি ফাটানোর ঘটনার ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ আইনের ৬৬ ধারায় মামলায় করা হয়েছে। এখানে অভিযুক্তকে কয়েক ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রেখে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশে এক আধিকারিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ৩৯৫টি ঘটনার ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ছিল। সেই কারণে অভিযুক্তদের জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সবুজ বাজি ফাটানোয় জোর

আতসবাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সবুজ বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছিল। সেই কারণে এবার সবুজ বাজির প্রচার ও সচেতনতা নিয়ে নিয়ে প্রচার করা হয়। সবুজ বাজি ফাটানোর পক্ষে সওয়াল করে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘সবুজ বাজির কারণে কোনও মানুষের মৃত্যু হয় না। তবে আতববাজির কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে সতর্কও করা হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *