কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য লালুপ্রসাদ ও তেজস্বী আসেননি বলেই আরজেডি সূত্রের খবর। আগামীকাল, শনিবার পর্যন্ত তাঁরা মহানগরে থাকতে পারেন। জাতীয় স্তরে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছে লালুপ্রসাদের দল। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকেও লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। অতীতে ব্রিগেডে মমতার আহ্বানে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সভায় এসেছেন তেজস্বী। এবার সপুত্র লালু কলকাতা সফরে আসায় তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁদের কোনও সাক্ষাৎ হবে কি না, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এবারও তেমন কোনও সম্ভবনা রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
তেজস্বীকে নিয়ে লালুপ্রসাদ পাটনা থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পা দেওয়ার পর এয়ারোর্টের বাইরে প্রবীণ এই নেতাকে স্বাগত জানান আরজেডি কর্মী-সমর্থকরা। মমতার সঙ্গে তাঁরা সাক্ষাৎ করবেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে তেজস্বী সংক্ষেপে বলেন, ‘আপনাদের এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ এই প্রসঙ্গে লালু কলকাতায় কোনও মন্তব্য করেননি। পাটনা ছাড়ার আগে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন তেজস্বী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যনন্দ রাই কয়েক দিন আগে যাদব ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে পাটনায় একটি সভা করেন।
সেখানে লালুপ্রসাদের তুমুল সমালোচনা করেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে তেজস্বী বলেন, ‘বিজেপি যাদবদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু ওদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না।’ আরজেডি সূত্রের খবর, কলকাতায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন লালুপ্রসাদ ও তেজস্বী। দক্ষিণ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। তার ফাঁকে আজ, শুক্রবার তেজস্বী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আরজেডি নেতৃত্ব। যদিও সাক্ষাতের সূচি চূড়ান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। বিকেলে পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।