Suvendu Adhikari : ‘ওঁকে পিটিয়েই মেরেছে…’, আমহার্স্ট‌ স্ট্রিট কাণ্ডে লালবাজার অভিযানের ডাক শুভেন্দুর – suvendu adhikari bjp mla called lalbazar abhijan on amherst police station death case


আমহার্স্ট‌ থানায় যুবককে ‘পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ‘ বলে জোরালো দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘ লালবাজার ঘেরাও ‘ এর ডাক দিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে আমহার্স্ট‌ কাণ্ডের প্রতিবাদে লালবাজার ঘেরাও করা হবে বলে এদিন মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর ঘোষণা করেন শুভেন্দু।

কী বললেন শুভেন্দু?

শুভেন্দু অধিকারী এদিন আমহার্স্ট‌ স্ট্রিট থানা কাণ্ডে নিহত অশোক কুমার সিং নামে মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘ আমরা অশোক সিংয়ের মৃত্যুকে ছোট আকারে দেখছি না। আমরা বৃহস্পতিবার আদালতের পরবর্তী নির্দেশ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপরে লালবাজার ঘেরাও হবে। সেই আন্দোলনে আমি নেতৃত্ব দেব।’

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

শুভেন্দু এদিন দাবি করেন, ওই যুবককে থানায় পিটিয়ে মারা হয়েছে। ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ মুছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ ওই যুবকের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। কিন্তু, রক্ত জমাট বাঁধল কী করে? এটা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ হরি দাস রায় এবং তাঁর সহযোগী রাজুর। ঘটনাটিকে তরান্বিত করেছে ওসি আমহার্স্ট‌ থানা। এই ক্ষমতাগুলো পেয়েছে বিনীত গোয়েলদের কাছ থেকে।’ ঘটনায় মৃত যুবকের পরিবারকে বিজেপির তরফে আইনি সাহায্য করা হবে এবং মৃত ব্যাক্তির স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পান দোকানের মালিক অশোক কুমার সিং এর মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তবে দুই পক্ষের সওয়াল শুনে আদালত নির্দেশ দেয়, পুলিশের তদন্তের উপর আস্থা প্রকাশ করা হচ্ছে। এমনকি, এই ঘটনায় দ্বিতীয় ময়না তদন্তের কোনও প্রয়োজন এখন নেই বলে জানায় আদালত। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই, ব্রেন হেমারেজের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই ময়না তদন্তের রিপোর্ট আস্থা প্রকাশ করেছে আদালত।

Calcutta High Court : আমহার্স্ট স্ট্রিট মামলায় BJP-র ধাক্কা! কলকাতা পুলিশেই আস্থা হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাকেশ সিং কে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি একটি মোবাইল ফোন পেয়েছিলেন, সেটি চুরির মোবাইল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে থানায় যান রাকেশের এক ভাইপো। তাঁর দাবি, থানায় গিয়ে তিনি দেখেন রাকেশ রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় পড়ে রয়েছে। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল। এরপর তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয। গোটা ঘটনায় কলেজ স্ট্রিট চত্বর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *