কী অভিযোগ শুভেন্দুর?
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘ভারত সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের বার্ধক্য ভাতা প্রদান করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্পের আওতায় থাকার ব্যক্তিদের বছরে একবার ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হয়। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য লাখ লাখ মানুষকে ফর্ম পূরণ করিয়েছেন। অথচ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বঞ্চিত করে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী-তে ফোন করে আবেদন বা নাম নথিভুক্ত না করলে এই ভাতা মিলবে না।’
শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘বারো লাখ পঁয়ষট্টি হাজার আবেদনকারী বার্ধক্যভাতার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন না করলে এই ভাতা পাবেন না। এই কথাটা শুধু আমি বলছি তা নয়। এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতির এই বিষয়ে একটি বার্তা সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেই কারণে বার্ধক্যভাতার জন্য অপেক্ষারত প্রবীণ ব্যক্তিদের আমার অনুরোধ, অপেক্ষায় বসে না থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টায় আছেন চুপিসারে নিজেদের দলীয় লোকেদের ফোন করিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে। তাই আপনারাও আবার নাম নথিভুক্ত করান।’
বিরোধী দলনেতা আরও লিখেছেন, ‘বার্ধক্যভাতার এই সুযোগ হাতছাড়া করলে আগামী দিনে যতই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লাইন দিন,কিংবা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার আবার সুযোগ প্রদান করবেন ততক্ষণ ভাতা মিলবে না। তখনও আবার সেই সুযোগ মুখ্যমন্ত্রী ফন্দি এঁটে দলীয় লোকজনদের পাইয়ে না দেন!’
একাধিক প্রকল্প নিয়ে শুভেন্দু-তৃণমূল তরজা
দীর্ঘদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম চুরির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ফের একবার বার্ধক্যভাতা নিয়ে একই অভিযোগ শোনা গেল নন্দীগ্রামের বিধায়কের গলায়। তবে এখনও অবধি তৃণমূলের তরফে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।