Trinamool Congress : টার্গেট ২৪, গঙ্গাপ্রসাদ-রবিন জোড়া ফলায় চা বলয়ে প্রস্তুতি জোড়াফুলের – ahead of the 2024 lok sabha elections trinamool congress trying to consolidate its position by reclaiming of the tea region


প্রসেনজিৎ বেরা
পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। সেই প্রেক্ষাপটে চা বলয়ের লোকসভা কেন্দ্রগুলিকে পুনরুদ্ধার করতে দলের চা শ্রমিক সংগঠনকে আরও মজবুত করতে চলেছে তৃণমূল। চা বলয়ের দুই নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও রবিন রাই-কে বাড়তি দায়িত্ব দিতে চলেছে জোড়াফুল শিবির। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন গঙ্গাপ্রসাদ আর সিপিএম থেকে এসেছিলেন রবিন রাই। গেরুয়া শিবিরে থাকার সময়ে চা বলয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন গঙ্গাপ্রসাদ। আলিপুরদুয়ারে বিজেপির জেলা সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। রবিন ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য। চা বলয়ে বহু বছর ট্রেড ইউনিয়ন ফ্রন্টে কাজ করেছেন তিনি।

রাজনীতিতে একদা উল্টো মেরুতে থাকলেও এখন চা বলয়ে বিজেপিকে মোকাবিলা করতে এই দুই নেতা জোড়াফুলের জোড়া ফলা হতে চলেছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের পর্যবেক্ষণ। তৃণমূলে জেলাওয়াড়ি যে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে, তাতে আলিপুরদুয়ারে গঙ্গাপ্রসাদকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। চা বলয়ের বহু পুরোনো তৃণমূল নেতা মলয় গোস্বামীকে সাংগঠনিক নেতৃত্বের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এই অদলবদল দেখেই দলে উত্তরবঙ্গের পোড়খাওয়া এক নেতার বক্তব্য, ‘তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর গঙ্গাপ্রসাদকে প্রথমে আইএনটিটিইউসি-র চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। বছর দুয়েকের মধ্যেই তাঁকে জেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ায় স্পষ্ট যে চা শ্রমিক ইউনিয়নেও তাঁর দায়িত্ব বাড়তে চলেছে।’ উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রথম সারির এক নেতার কথায়, ‘রবিন রাই ও গঙ্গাপ্রসাদ একদা ভিন্ন রাজনীতি করলেও চা বলয়ে নিচুতলায় কাজ করেছেন। এঁদের সেই অভিজ্ঞতা দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কাজে লাগাতে চাইছেন।’

Trinamool Congress : ‘পারফর্ম’ করতে না পারলে থাকবে না পদ, মন্ত্র তৃণমূলে
জোড়াফুল শিবিরের চা শ্রমিক সংগঠনে এখন সভাপতি বীরেন্দ্র বরা ওঁরাও এবং সম্পাদক নকুল সোনার। বীরেন্দ্রও অতীতে ভিন্ন রাজনীতি করতেন। এই দু’জনকে পদে বহাল রেখেই বিজেপির হাত থেকে চা বলয় ছিনিয়ে নিতে গঙ্গা ও রবিনকে বাড়তি দায়িত্ব দিতে চলেছে তৃণমূল। ২০১৯ সালে তরাই-ডুয়ার্সের চা বলয়ের দু’টি লোকসভা জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জোড়াফুলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় গেরুয়া শিবির। রায়গঞ্জ ও কোচবিহার লোকসভার একাংশেও চা বাগান রয়েছে। এই দুই আসনও তৃণমূলের হাত থেকে বেরিয়ে যায়।

Trinamool Congress : নতুন জেলা সভাপতিকে দেখে থ কর্মীরা, শুভেন্দুর জেলায় তৃণমূল নেতার এ কী কাণ্ড!
এই চার লোকসভা পুনরুদ্ধার করতে তৃণমূল এ বার অনেক আগে থেকে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে চা বলয়ে আইএনটিটিইউসি-র ছত্রচ্ছায়ায় একাধিক চা শ্রমিক সংগঠন ছিল। অভিষেকের প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে প্রবীণ তৃণমূল নেতা ময়ল ঘটক এবং আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের একাধিক চা শ্রমিক ইউনিয়নকে একসূত্রে বেঁধে ‘তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন’ গড়েন। অভিষেকের উপস্থিতিতে চা শ্রমিক সম্মেলনও হয়। এই সাংগঠনিক উদ্যোগের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণ, জমির পাট্টা দেওয়া, চা বাগানে ক্রেশ পর্যন্ত চালু করা হয়।

দলের জেলা স্তরে সাংগঠনিক রদবদলের পর এ বার সমস্ত শাখা সংগঠনেও অদলবদল হতে চলেছে। সেই রদবদলের সময়েই গঙ্গাপ্রসাদ ও রবিনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আরও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *