চলতি মাসের ৫ তারিখ ঘটনাটি ঘটে। দুর্গানগরের এক তরুণী তাঁর দাদার সঙ্গে যাওয়ার সময় তাঁদের অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওই তরুণী। অভিযোগ, তার পরেই ওই দুই যুবক দলবল নিয়ে তরুণীর বাড়ির সামনে জড়ো হয়। অভিযোগ, সে সময় তরুণীর মা এবং আরও এক তরুণীকে হেনস্থা করা হয়। এক তরুণীর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এর পরেই ওই পরিবারের তরফ থেকে নিমতা থানায় অভিযোগ করা হয়। তাতে মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং অভিযোগের কপি জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল নিমতা থানার পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন ওই অভিযুক্ত। এর পর হঠাৎ করেই আক্রান্ত পরিবার জানতে পারে, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। নিগৃহীতার পরিবারের অভিযোগ, আদালত থেকে জামিন মিললেও নিমতা থানার এক পুলিশকর্মী তাদের কাছে টাকার দাবি করে বারবার চাপ দিচ্ছেন। কখনও হোয়াটসঅ্যাপে, কখনও ফোন করে টাকা চাওয়া হয় বলেও দাবি অভিযোগকারীদের।
নির্যাতিতা পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং শাসক দলের এক স্থানীয় নেতার ঘনিষ্ঠ। এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘পারিবারিক গন্ডগোল থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানতে পেরেছি। দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে টাকার দাবি করার অভিযোগ করা হচ্ছে, তিনি এই কেসের তদন্তকারী আধিকারিকই নন। তবুও ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’