কী ঘটনা?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নামর রঞ্জন মাজি। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিনিয়র ম্যানেজার পরিচয়ে আনন্দশঙ্কর দাস নামে বাগুইআটি হাতিয়াড়ার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের সঙ্গে প্রতারণা করে রঞ্জন। ওই বৃদ্ধ চলতি বছর ২৩ মার্চ বাগুইআটি থানায় রঞ্জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেই এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই প্রবীণকে ফোন করে ব্যাঙ্ক থেকে বাড়তি সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখানো হয়। তাঁর ফোনে পাঠানো ওটিপিও চায় প্রতারকরা। বিধাননগর পুলিশের এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগে ওই প্রবীণ আমাদের জানান তিনি কোনও ওটিপি প্রতারকদের হাতে দেননি। কিন্তু ফোন পাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ ফোনে আসতেই ওই বৃদ্ধ বুঝতে পারেন যে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।’
অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার
বৃদ্ধের অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ফোনে পাঠানো ওটিপি না দিলেও প্রতারকদের হাতে নিজের ব্যক্তিগত কিছু তথ্য তুলে দিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তখনই রঞ্জনের হদিশ পায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতার জন্য রঞ্জনকে একাধিকবার নোটিশ পাঠিয়ে থানায় তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সে তাতে সাড়া দেয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নোটিশ পাঠিয়েও সাড়া না পেয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। তল্লাশি সাইবার অপরাধে জড়িত থাকার বিভিন্ন নথি পুলিশের হাতে আসে। তার ভিত্তিতেই রঞ্জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিধাননগরের পুলিশের দাবি, তাদের কাছে প্রায়ই এই ধরনের অভিযোগ আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রতারকরা ব্যাঙ্ক আধিকারিকের পরিচয়ে প্রবীণদের টার্গেট করছে। এই ধরনের সাইবার প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র রাস্তা সতর্কতা, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ আধিকারিকরা। ফোনে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য ভাগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।