ICC World Cup Final : জার্সি, পতাকা, বাজির চাহিদায় উত্তাল বর্ধমান, বিশ্বকাপ ফাইনাল ঘিরে কাঁপছে শহর – from school college students to office workers the toy shops have begun to throng for icc world cup final in bardhaman


এই সময়, বর্ধমান: রাত পেরোলেই আমেদাবাদে বাইশ গজের মহারণ। তার উত্তাপ এসে পৌঁছেছে বর্ধমানেও। আট থেকে আশি সকলেই বিশ্বকাপ জ্বরে আচ্ছন্ন। খেলা দেখেন না এমন মানুষও উত্তেজনায় চনমন করছেন। খেলার দোকানগুলিতে ভিড় বেড়েছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে অফিসকর্মীদের। সবাই চান ভারতের নীল জার্সি কিনতে। সেই জার্সি পরেই কিনা খেলা দেখার মজা। আমেদাবাদের স্টেডিয়াম না হোক, কাঞ্চননগর, রথতলা বা গোলাপবাগ মোড়ে জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে বসে রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলিদের হয়ে গলা ফাটাতে তৈরি সবাই।

শুক্রবার মাকে নিয়ে জার্সি কিনতে এসেছিল সপ্তম শ্রেণি ছাত্র সৌভিক দাশগুপ্ত। কিন্তু তার মাপের জার্সি পাওয়া যাচ্ছে না। বড় মাপের জার্সি কিনতে চাইছেন না মা। কিন্তু তা মানতে নারাজ সৌভিক। তার আবদার, ‘একটু বড় হলে ক্ষতি কীসের। এই বিশ্বকাপ ফাইনালের পর তো ফের সাউথ আফ্রিকায় খেলা হবে। তখন পরব। আমি তখন তো আরও একটু বড় হয়ে যাব।’ দোকান ভর্তি লোকের সামনে ছেলের এই যুক্তির কাছে হার মেনেছেন মা শিপ্রা দাশগুপ্ত।

তিনি বলেন, ‘এমন অবস্থা, অন্য আর একটা দোকানে গিয়ে যে ওর সাইজের গেঞ্জি কিনব, সেটা হলো না। ছেলের ধারণা, আর জার্সিই পাওয়া যাবে না। বাধ্য হয়ে বড় মাপের জার্সি কিনলাম।’ শিপ্রা জানান, তিনি খেলার বিশেষ কিছু বোঝেন না। বলেন, ‘বাবা আর ছেলে যাবে বন্ধুর বাড়িতে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে। আমিও যাব। নিজের দেশের হয়ে লড়াই করা ক্রিকেটারদের দূর থেকেই শুভেচ্ছা জানাব।’

World Cup Final : একটা প্রোজেক্টর পাই কোথায় বলতে পারেন! ফাইনাল দেখার ধুম জেলায় জেলায়
শুধু যে ভারতের জার্সির চাহিদা বেড়েছে এমন নয়। জাতীয় পতাকা কেনার চাহিদাও বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শব্দবাজি কেনার ধুম। বিসি রোডের বাসিন্দা শেখ আসগর আলিকে দেখা গেল ১০ প্যাকেট শব্দবাজি নিয়ে ফিরতে। আসগর বলেন, ‘কাল আরও কড়াকড়ি করবে পুলিশ। তার আগে লুকিয়েই নিয়ে এলাম। রোহিত আর কোহলির সেঞ্চুরির পরে সামি আর সিরাজ যখন উইকেট নেবে তখন বাজি না ফাটালে ঠিক জমবে না। আমরা চার বন্ধু মিলে সাড়ে চার হাজার টাকার বাজি কিনেছি।’ মুখে হাসি দোকান মালিকদেরও। এমন ফাইনাল তাঁরাও চান। লক্ষ্মীলাভের এমন সুযোগ তো বারবার আসে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *