Joynagar Murder : সইফুদ্দিনের উপর ‘অ্যাটাক’-এর খবর আগে পেয়েছিল জয়নগর থানা? তৃণমূল নেতা খুনে নয়া জল্পনা – baruipur district police informed joynagar police station about chance of attack on trinamool leader


জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই নিয়ে শোরগোলের মধ্যে শুক্রবার জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়কে বদলি করা হয়। তাঁকে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চে পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে বারুইপুর গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক পার্থসারথি পালকে জয়নগর থানার আইসি করে নিয়ে আসা হচ্ছে। পুলিশি রদবদলের মধ্যেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, তাতে ফের একবার প্রশ্নের মুখে জয়নগর থানার ভূমিকা।

পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে?

জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়কে বদলির পর পুলিশ মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সূত্রের খবর, সইফুদ্দিনের উপর হামলার আশঙ্কার খবর আগেই ছিল বারুইপুর জেলা পুলিশের কাছে ৷ এই বিষয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে জয়নগর থানাকে সতর্কও করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাসখানেক আগেই জয়নগর থানার কাছে গিয়েছিল সতর্কবার্তা। তারপরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই কি খুন হতে হল তৃণমূল নেতাকে? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে জেলা পুলিশের অন্দরে। আর এর মধ্যেই জয়নগর থানার আইসিকে বদলির ঘটনা জল্পনা আরও জোরাল করেছে।

Joynagar TMC Leader Murder: তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন খুনে জড়িত পরিবারের সদস্য? ধৃত সিপিআইএম নেতাদের ১১ দিনের পুলিশ হেফাজত
যদিও পুলিশের তরফে একে ‘রুটিন বদলি’ বলা হচ্ছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার একাধিক আইসি ও পুলিশ অফিসারের লোকসভা নির্বাচনের আগে বদলি হওয়ার কথা, সেই কারণে এই বদলি বলে জানানো হয়েছে। পুলিশের তরফে এই যুক্তি দেওয়া হলেও জল্পনা থামছে না।

সইফুদ্দিন খুনের তদন্ত কোন দিকে?

ভাড়াটে খুনি দিয়েই তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়, এই ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ ৷ এই ঘটনায় ধৃত শাহরুল, আনিসুর ও কামাউদ্দিনকে শুক্রবার সন্ধেবেলা বারুইপুর থানা থেকে জয়নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, খুনের দেড় মাস আগে থেকে এই পরিকল্পনা করা হচ্ছিল ৷ আনিসুরই ছিল পরিকল্পনার মুল মাথা ৷ তবে অর্থ জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে উঠে আসছে আরও দু’জনের নাম। তাদের মধ্যে একজন সইফুদ্দিনের পরিবারেই সদস্য বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সইফুদ্দিনের ওই পরিবারের সদস্যের সাট্টার ঠেক রয়েছে। তৃণমূল নেতার প্রভাবে সেই ঠেক চালাতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল তাকে। এছাড়াও বামনগাছি এলাকার এক ব্যবসায়ীর নামও সামনে উঠে এসেছে। সইফুদ্দিনের হুমকি ও বিভিন্ন কাজে তাঁর ব্যবসা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। তারা দু’জনই ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। আরও ৭-৮ জন যুক্ত বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার পলাশ ঢালি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *