Passenger Train : বাড়ছে সমস্যা, চিত্তরঞ্জন-হাওড়াগামী ট্রেন চালানোর দাবি রেল শহরে – various social organizations of rupnarayanpur are currently demanding to start a train from chittaranjan to kolkata


এই সময়, আসানসোল: দাবি থাকলেও কলকাতা যাতায়াতের জন্য চিত্তরঞ্জন রেল শহর থেকে সরাসরি যাত্রীবাহী কোনও ট্রেন নেই। কারখানার শ্রমিক সংগঠনগুলির আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রায় এক দশক আগে চালু হয়েছিল চিত্তরঞ্জন-কলকাতাগামী ট্রেন। পরে চিত্তরঞ্জন থেকে ওই ট্রেন তুলে জসিডি থেকে কলকাতা করা হলেও, এখন সেটাও বন্ধ।

চিত্তরঞ্জনের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি, সিটু, রেলওয়ে এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন ও লাগোয়া শহর রূপনারায়ণপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দাবি জানিয়েছে, চিত্তরঞ্জন থেকে অন্তত সকালে কলকাতামুখী একটি ট্রেন চালানো হোক। সেই ট্রেন ফিরে আসুক ওই দিন রাতে। একই সঙ্গে তাদের দাবি, এই রুটে সাধারণ যাত্রীদের জন্য জসিডি-কলকাতা, শিয়ালদহ-সীতামারি, হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস সমেত বন্ধ হওয়া যাত্রী ট্রেনগুলি ফের চালু করা হোক। ট্রেন চালুর এই দাবিকে সমর্থন করেছেন ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স।

আসানসোল থেকে ভোরে হাওড়ার উদ্দেশে ছাড়ে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। এর পর সকালে রয়েছে কোলফিল্ড এক্সপ্রেস। দুপুরে জনশতাব্দী। বণিকসভার বক্তব্য, এর মধ্যবর্তী সময়ে আসানসোল থেকে সরাসরি হাওড়া যাওয়ার কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন নেই। জনশতাব্দী ছাড়া দূরপাল্লার কোনও ট্রেন কার্যত চিত্তরঞ্জনে থামে না। পার্শ্ববর্তী রূপনারায়ণপুরে রয়েছেন চিত্তরঞ্জন বা হিন্দুস্তান কেবল্‌সের কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত বাসিন্দা।

কিন্তু এখানেও দ্রুতগামী কোনও ট্রেনের স্টপেজ নেই। ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান বলেন, ‘সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ন’টার মধ্যে চিত্তরঞ্জন থেকে একটি ট্রেন অন্তত হাওড়ার উদ্দেশে চালু করা হোক। রাতে তা হাওড়া বা কলকাতা থেকে ফিরে আসুক। এই বিষয়ে আমরা ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে চিঠি দিয়েছি।’

চিত্তরঞ্জনের আইএনটিইউসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং, সিটু নেতা রাজীব গুপ্ত এবং রূপনারায়ণপুরের সামাজিক সংগঠন ভাবনার পক্ষে অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইতিমধ্যে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনও আশ্বাস মেলেনি।’ চিত্তরঞ্জন রেল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের নেতা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক গত সাত দশক ধরে রেল ইঞ্জিন তৈরি করলেও কলকাতায় যাতায়াতের জন্য তাঁদের স্থায়ী কোনও ট্রেন নেই।

এটা লজ্জার এবং দুঃখের ঘটনা।’ রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা শিক্ষাবিদ অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিভিন্ন শিক্ষা ও সংস্কৃতির কাজে প্রায়ই আমাকে বাইরে যেতে হয়। অথচ রূপনারায়ণপুরে দ্রুতগামী ট্রেনের কোনও স্টপেজ নেই। আগে অন্তত সুপার লোকাল বা ফার্স্ট প্যাসেঞ্জারের মতো ট্রেন চলত। সেগুলো ফের চালু করা উচিত।’ বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী দুর্গাশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রূপনারায়ণপুর স্টেশনের পাশেই আমার বাড়ি।

ফলে যাত্রীদের দুর্দশা আমি বুঝতে পারি।’ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ছোট স্টেশন থেকে ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে কারিগরি কিছু সমস্যা থাকে। এই ধরনের আবেদনগুলি এলে অবশ্যই রেল কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করে দেখেন। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ -ছোট স্টেশন থেকে ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে কারিগরি কিছু সমস্যা থাকে। এই ধরনের আবেদনগুলি এলে অবশ্যই রেল কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করে দেখেন। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- কৌশিক মিত্র, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *