ঠিক কী বলেছেন সিদ্দিকুল্লা?
মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘১০০ – র মধ্যে একজনের অবস্থা যদি এরকম হয় তাহলে ৯৯টা খারাপ বলব কেন ? আপনি যেমন প্রশ্ন করছেন, সব খারাপ। কারও শরীর হাতে কিছুটা একটু অসুস্থতা হলে আমরা কি বলব তাঁর মাথা খারাপ হয়েছে? ওটা আমাদের কাছে লিখলে, বললে রাস্তাটা সারিয়ে দেব।’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘মৃত্যু ওই কারণে না তার ভাগ্যে ছিল, রাস্তার জন্য মৃত্যু হয় না। এই সবগুলো মিডিয়ার অনুগ্ৰহ আমাদের প্রতি, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বিষয়গুলিকে সামনে আনা হচ্ছে।’
রাস্তাতেই মৃত্যু গৃহবধূর
প্রসঙ্গত, মালদা জেলার বামনগোলার গোবিন্দপুর-মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গৃহবধূ মামণি রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন গত বুধবার। জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। এরপরেই তাঁকে শুক্রবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পাননি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে খাটিয়া করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়। এরপরেই রাস্তাতেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। ঘটনার পর প্রশাসনের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোবিন্দপুর-মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালডাঙা থেকে আইগনতারা দীর্ঘ ৫ কিমি রাস্তা অত্যন্ত বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই কারণে আগে গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের ব্যাপারে প্রতিবাদ দেখলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। রাস্তা ঠিক থাকলে তাঁর স্ত্রীকে মরতে হত না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মৃতার স্বামী কার্তিক রায়।