কী জানালেন সুকান্ত?
সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ সংগঠনের তরফে বিগ্রেড গ্রাউন্ডে আগামী ২৪ ডিসেম্বর লাখ মানুষের গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। মোদীর উপস্থিত থাকার খবরে যা আরও চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে সেই অনুষ্ঠানে কি আমন্ত্রণ পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বিষয়টি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ ওঁরা সমস্ত বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানাবেন, মুখ্যমন্ত্রীও একজন বিধায়ক তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
কলকাতায় গীতা পাঠ অনুষ্ঠান
উল্লেখ্য, গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাতে যান সভাপতি শ্রীমৎ প্রদীপ্তনন্দ জী মহারাজ (কার্তিক মহারাজ), মুখ্য রাজ্য সংগঠক ড: মানস ভট্টাচার্য এবং রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী বসন্ত শেঠিয়া। এছাড়া তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটির সহ সভাপতি স্বামী নিরুগুনানন্দ ব্রহ্মচারী, স্বামী শ্রীমৎ বন্ধু গৌরব মহারাজ সহ অন্যান্যরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই আয়োজকরা জানান, তিনি কলকাতায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন।
জয়নগর কাণ্ডে সমালোচনা
অন্যদিকে, জয়নগর থেকে আমডাঙা রাজ্যের একাধিক হত্যার ঘটনায় সমালোচনা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, তৃণমূলের নেতারাই তৃণমূলের দ্বারা পরিচালিত প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না। এক কথায় মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ তার দলের লোকেদেরই তার প্রশাসনের ওপর ভরসা নেই। এটা লজ্জার বিষয়। জয়নগরে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় এখনো অধরা দুষ্কৃতীরা, এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পরিবার সিবিআই চাইছে, আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি। পরিবার যদি আইনি সহায়তা চায় আমরা আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি, আদালতে আসুক।’
এদিন মালদা জেলায় অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার ঘটনায় এক গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয়। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র মালদায় হয়েছে তা না, পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় এরকম আছে মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এমন অবস্থা যে রোগী নিয়ে যেতে গেলে মৃত্যু হবে এটা অস্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়।’ পাশাপাশি, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ব্যাপারেও রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি।