TMC VS BJP : বিজেপির অনুষ্ঠানে হাজির তৃণমূল, চাঁদার টাকা নিয়ে হইচই! অবাক কাণ্ড কুলতলিতে – bjp and trinamool congress supporters involve in clash at dakshin 24 pargana kultali


জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনা নিয়ে চর্চার মধ্যে ফের উত্তেজনা। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যাওযায় বেধড়ক মার তৃণমূলকর্মীদের। এই ঘটনার পর ফের চর্চায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানা এলাকার সোনাটিকারিতে৷ ঘটনায় আহত একাধিক৷ তাদের কুলতলি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ পালটা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ বিজেপি কর্মীদেরও ৷ দুপক্ষই কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷

ঠিক কী ঘটনা কুলতুলিতে?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলতলির সোনাটিকারি গ্রামে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা হরিনাম সংকীর্তণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন৷ সেই অনুষ্ঠানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি থেকে চাঁদা নেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে চাঁদা নেওয়া হলেও তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার অনুষ্ঠানের সময় চাঁদা না দিয়ে তৃণমূল সমর্থক বাড়ির কয়েকজন ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে উপস্থিত হন। তখন অনুষ্ঠানে ঢুকতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়েই শুরু হয় দুপক্ষের বিবাদ। পরবর্তীকালে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। শুরু হয় ব্যাপক মারামারি। দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ তাঁরা সকলেই চিকিৎসাধীন৷

অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক তরজা

তৃণমূলের অভিযোগ খারিজ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তাদের অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল ৷ অনুষ্ঠানের মাইক খুলে দেওয়া হচ্ছিল ৷ সেই কারণেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা ও মারামারি হয় ৷ এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।

Joynagar Incident: জয়নগর খুনে ব্যবহৃত বাইকের মালিককে নিয়ে নয়া তথ্য, তিন দিন পরেও অধরা বাকি অভিযুক্তরা
আক্রান্ত তৃণমূলকর্মী রাজু রং বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় হরিনাম সংকীর্তণের আয়োজন করা হয়েছিল। বেছে বেছে সেখানে লোকদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আমরা তৃণমূল করি সেই কারণে আমাদের বাড়ি থেকে কোনও চাঁদাও নেওয়া হয়নি। হরিনামের সময় আমরা কয়েকজন হরিনাম শোনার জন্য গিয়েছিলাম। তখন আমাদের বাধা দেওয়া হয়। সেই নিয়ে বচসার সময় মারধর করা হয়।’

আক্রান্ত বিজেপি কর্মী মালতী বর বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা আয়োজনের দায়িত্বে ছিলাম। চাঁদা নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সময় হঠাৎ করে তৃণমূলের লোকেরা সেখানে আসে এবং আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। মাইক খুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয়। আমাকেও মারা হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *