সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে থানা ভিত্তিক রিপোর্ট পাঠাচ্ছে নবান্ন। আগামী বছর মার্চ মাস নাগাদ লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তার আগেই প্রশাসনিক দিক থেকে যাবতীয় আয়োজন যাতে ঠিক থাকে, সেই বিষয়ে তৎপরতা তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সাল-এই দুই লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ সংক্রান্ত তথ্য ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে পাঠাত পারে নবান্ন। এই দুই নির্বাচনে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন হয়েছিল এবং তাদের কোথায় মোতায়েন করা হয়েছিল, বুথ সংখ্যাই বা কত ছিল, স্ট্রং রুম সংখ্যা কেমন ছিল সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য একত্রিত করছে নবান্ন। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের থেকে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে, সূত্রের খবর এমনটাই।
জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এই দুই নির্বাচনে কোথায় কত বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগের দুই লোকসভা নির্বাচনের আগের কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য একত্রিত করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন বিভিন্ন দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই প্রথমবার ২৮টি রাজনৈতিক দল এক হয়ে BJP-র বিরুদ্ধে লড়াই করতে চলেছে। সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোট বনাম এনডিএ-র হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে রাজনীতির মঞ্চে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, ২০১৯ সালে বাংলায় ১৮টি আসন জয় গেরুয়া শিবিরের অনেকের জন্যও চমক ছিল। সেই আসন স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি করতে চাইবে বিজেপি। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সাফল্য ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবে তৃণমূলও, মত ওয়াকিবহাল মহলের। সার্বিক প্রেক্ষাপটে ‘ভোট কাটাকুটি’-র ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে বাম, কংগ্রেস এবং ISF-ও, মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।