West Bengal School : ‘দরজা বন্ধ করে…’, বাগদার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ – students brings allegation against kankinara jadav chandra high school head teacher


প্রধান শিক্ষকের চরিত্র প্রসঙ্গ টেনে তীব্র সমালোচনা। অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয়ে গেটের সামনে বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রীরা। দাহ করা হলে ওই প্রধান শিক্ষকের কুশপুতুল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের কনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাই স্কুলে। শনিবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেছিলেন পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, প্রধান শিক্ষককে ছুঁচোর সঙ্গে তুলনা করলেন ছাত্র ছাত্রীরা।

অবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে অপসারণ না করা হলে তারা স্কুলে প্রবেশ করবে না এবং কোনও ক্লাস করবে না, এমনই দাবি করা হল বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, ওই প্রধান শিক্ষকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্কুলেরই এক শিক্ষিকা। এরপরেই ক্রমশ চড়তে থাকে পারদ।

ঠিক কী অভিযোগ পড়ুয়াদের?
স্কুলের এক ছাত্রী বলেন, ‘স্যার ক্লাস করান না। দরজা বন্ধ করে কথা বলেন। এভাবে চলতে পারে না। আমরা কেউ ক্লাস করব না এভাবে। তাঁকে সরাতে হবে।’ ওই ছাত্রী আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ‘ছুঁচো’ বলে সম্বোধন করেন।

এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই প্রধান শিক্ষক ঠিক কী বলছেন?
তিনি পুরোটাই ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। এই প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘স্কুলের এক শিক্ষিকা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, আমি তাঁকে যখন তখন ডেকে পাঠাই। অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিই। এই যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা।’

তাঁর আরও দাবি, ‘আসলে ওই শিক্ষিকাকে এতদিন স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হত না। এখন আচমকা দেখি সব ঠিক হয়ে গেল। এই পুরোটাই চক্রান্ত। শিশু মনে বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। আমি এখানে এসেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিলাম। কিন্তু, আগের বার যখন হামলা করা হল সেই সময় আমার সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হল। আসলে ওদের সিসিটিভি ক্যামেরাতে আপত্তি রয়েছে। তাই বারে বারে ওরা ক্যামেরা ভেঙে দেয়।’

এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিভাবকরাও। স্কুলের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অপসারণ না করলে এই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই ঘটনায় জেলা শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *