Barrackpore Police : স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী! খড়দাকাণ্ডে নেপথ্যে পরকীয়া? তদন্তে পুলিশ – barrackpore police investigating the real cause of khardah family death case


স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জনিত কারণ নাকি ব্যবসায়িক কোনও সমস্যা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? খড়দায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। বৃন্দাবন কর্মকারের গোটা পরিবারের এহেন পরিণতিতে অবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও।

রবিবার গোটা এলাকা তখন বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এর মধ্যেই ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের করবী টাওয়ার্স-এর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গুঞ্জন শুরু হয় এলাকায়। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, বৃন্দাবন যে সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছেন, তাতে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তবে স্ত্রীর সঙ্গে বৃন্দাবনের অশান্তির কথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি স্থানীয়রা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ওদের মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল, এরকম তো শুনিনি কোনওদিন। ওঁর স্ত্রী, মেয়ে, ছোট ছেলেটা সকলেই খুব মিশুকে ছিলেন। এই তো কিছুদিন আগেই পুজোর সময় প্রচুর মার্কেটিং করে বাড়ি ফিরতে দেখেছি। বাড়িতে মাঝেমধ্যেই বাইরে থেকে খাবার আনা হতো। ভালোই তো ছিলেন ওঁরা।’ সুখী দাম্পত্য জীবনের মধ্যে পর পুরুষের আগমনে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল আদৌ? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ের কাছে একটি কাপড়ের দোকান ছিল বৃন্দাবন কর্মকারের। ব্যবসায়িক কোনও সমস্যা বা অশান্তি কি লুকিয়ে রয়েছে এই অঘটনের পেছনে? কোনও বড় আর্থিক ক্ষতি বা দেনাপাওনার ব্যাপারেও নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি ওই পরিবারের পরিচিতরা। পরিবারের কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।

ব্যারাকপুর পুলিশের ডিসিপি সেন্ট্রাল আশিস মৌর্য বলেন, ‘আমরা ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছি। তবে তাতে যেগুলি লেখা, সেগুলি সঠিক কিনা সে ব্যাপারে যাচাই করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কী কারণে এই ঘটনা সেটা এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পুরোটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ সুইসাইড নোটে হাতের লেখা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Khardah News : বুরারি কাণ্ডের ছায়া খড়দায়! ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৪ জনের দেহ, চাঞ্চল্য
রবিবার সকালেই বাইরে থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে করবী টাওয়ার্স-এর ওই ফ্ল্যাটের মালিক পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে লক্ষ্য করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। এরপর দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকা হয়। এরপরেই সন্তান সহ বাবা, মার দেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে বৃন্দাবন কর্মকারের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। দেহগুলিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্ত্রী, সন্তানদের গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কিনা, সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *