কী ঘটনা?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার মৃত্যুর কারণে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বাড়িতে ছিলেন না গৃহকর্ত্রী অনিন্দিতা দেবনাথ। শনিবার বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন সদর দরজার তালা ভাঙা। ঘরে ঢুকে চোখ কপালে ওঠে ওই মহিলার। বাড়ি ঢুকে দেখেন, সব কিছু ওলট-পালট অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মূল্যবান সামগ্রীর পাশাপাশি রান্নাঘর থেকে মশলাও চুরি হয়ে গিয়েছে।
দেবনাথ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তেল, হেয়ার ড্রেসার থেকে শুরু করে রান্নার তেল, এমনকী ঠাকুরের সব সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়িতে নতুন তালা লাগিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কতীরা। এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
কী বলছেন পরিবারের সদস্যরা?
এই চুরির ঘটনায় অবাক দেবনাথ পরিবারের সদস্যরা। গৃহকর্ত্রী অনিন্দিতা দেবনাথ বলেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরের অসুস্থ ছিলেন। মারা যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই আমি বাড়ি থেকে চলে যাই। বৃহস্পতি ও শুক্রবার আমি বাড়িতে ছিলাম না। আজ সকালে বাড়ি এসে দেখি, পুরো ঘর এলোমেলো। প্রতিবেশীদের যাতে সন্দেহ না হয়, সেই কারণে তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোনার গয়না সহ ৬০-৭০ হাজার টাকার সামগ্রী চুরি হয়ে হিয়েছে। ঠাকুরের কাঁসার বাসনও চুরি হয়ে গিয়েছে। অবাক করার মতো বিষয় হল, মাথায় মাখার তেল, হেয়ার স্ট্রেটনার থেকে শুরু করে বডি স্প্রে, সব কিছু চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। রান্নাঘর থেকে তেল, মশলা, নুন সব চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। আমরা সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ এসে সবটা দেখে গিয়েছে। তারা তদন্ত শুরু করেছে।’
রাজ্যে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। দুর্গাপুজোর সময় ফাঁকা বাড়ি থাকার সুযোগ পেয়ে বারুইপুরের এক শিক্ষিকার বাড়িতে চুরি হয়। তাঁর বাড়ি থেকেই অনেক মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষিকার শাশুড়ি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই সুযোগ পেয়ে হানা দেয় চোররা। সোনার গয়না থেকে শুরু করে নগদ. কয়েক লাখ টাকার সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়।