লেজার শোয়ের মাধ্যমে অঙ্গদান যে জীবনদান তা ব্যাখা করা হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজোর পুজো মণ্ডপে। যারা অঙ্গদানের মাধ্যমে জীবনের অমূল্য উপহার দিয়েছেন অথবা দিতে ইচ্ছুক তাদের উদ্দেশ্যে জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন গুলোতে চন্দননগর স্টেশন রোডে মধ্যাঞ্চল সার্বজনীন লেজার শোয়ের আয়োজন করেছে। ১৯ থেকে ২২ নভেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই বিশেষ লেজার শো প্রদর্শিত হবে।
শুধু অঙ্গদানের গুরুত্ব নয়, চন্দননগরের স্টেশন রোডে মধ্যাঞ্চল সার্বজনীনের পুজো মণ্ডপে লেজার শোয়ের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে কীভাবে শুরু হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজো। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কবে কীভাবে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেছিলেন, সেই গল্পের পর অঙ্গদান করলে অন্যের মধ্যে কীভাবে বেঁচে থাকা যায় তা দেখানো হচ্ছে লেজার শোয়ে। এমনকী একজনের অঙ্গদানে কীভাবে বাঁচে একাধিক জীবন তাও বর্ণনা করা হয়েছে।
চন্দননগর আলোর শহর। জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই শহরের রাজপথ আলোকিত রকমারি আলোয়। চন্দননগর স্টেশন রোডে মধ্যাঞ্চলের লেজার শো দেখতেও ভিড় উপচে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। এক বেসরকারি নার্সিংহোমের উদ্যোগে এই অঙ্গদানের উপকারিতা বোঝানো “মনে রেখো” একটি দর্শনীয় লেজার শোয়ের আয়োজন। প্রদর্শিত হচ্ছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপে।
চন্দননগর স্টেশন রোডের এই পুজোই নয়, কানাইলাল পল্লী সহ আরও নামজাদা কয়েকটি পুজোর থিমে রয়েছে সচেতনতার বার্তা। যেমন পরিবেশ বান্ধব জিনিসে মণ্ডপ বানিয়ে বার্তা । কানাইলাল পল্লী এবছর নিজেদের মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহার করেছে অসমের বিশেষ ঘাস, ভুট্টার শুকনো খোসা সহ সমস্ত পরিবেশ বান্ধব জিনিস। এর কোনওটাই প্রকৃতির ক্ষতি করবে না। মণ্ডপ তৈরিতে কোনও প্লাস্টিক ব্যবহার হয়নি।