কী জানা যাচ্ছে?
রবিবার সকালে ফের বামেদের একটি প্রতিনিধি দল ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা নেয়। তবে গুদামের হাট মোড়ে বাম প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ আটকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
কী বলছে সিপিএম?
সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ আমরা ত্রাণ নিয়ে এসেছি। ১৪৪ ধারা জারি নেই। তারপরেও আমাদের আটকাচ্ছে পুলিশ।’ অন্যদিকে মহিলা সমিতির নেত্রী মোনালিসা জানান, আক্রান্ত এলাকার মহিলারা খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। তাঁদের ও বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস আমরা নিয়ে যাচ্ছি। তাতেও বাধা দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ শাসকদলের তাবেদারি করছে।
তাঁদের আরও অভিযোগ, সিভিক দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘গ্রামের লোক ছাড়া অন্য কোনও বহিরাগত এলাকায় ঢুকবে না।’ শুধুমাত্র পুলিশ কর্মীরাই আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর সাতসকালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন জয়নগরের স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর। এরপর ওই এলাকায় আরেকজনকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। তৃণমূল নেতা হত্যার ঘটনার পরেই দলুয়াখাঁকিতে একের পর এক সিপিএম নেতা-কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
ঘটনার পর থেকে কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে যায় গোটা এলাকা, বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান পুরুষ সদস্যরা। এর আগেও মবাসীদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়েই বারবার পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে সিপিএম। ঘটনার পর ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এবং কংগ্রেস প্রতিনিধি দলও ওই এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করে। তারাও পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিল। রবিবার সকালে ফের ওই এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বামেদের প্রতিনিধি দল। ১৪৪ ধারা জারি না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কেন আটকানো হল, তা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।