কামরাঙা গাছের নীচে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসলেন চন্দ্রচূড় তর্কচূড়ামণি, দেখা দিলেন দেবী…।Jagaddhatri Puja in nadia Krishnanagar as well as whole bengal introduced by Maharaja Krishnachandra


বিশ্বজিৎ মিত্র: এখন সারা রাজ্যে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। তবে এর শুরুটা কিন্তু নদীয়ার শান্তিপুরের ব্রহ্মশাসন এলাকায়। জগদ্ধাত্রী পুজোর এই প্রচলন নিয়ে জনশ্রুতিও রয়েছে। শোনা যায়, তৎকালীন বাংলার নবাব নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে বন্দী করেছিলেন। বাংলার নবাব মিরজাফরের জামাতা মিরকাশিমের সঙ্গে কৃষ্ণচন্দ্রের মনোমালিন্য হয়। সেই সময়ে রাজার নামে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। সময়টা ১৭৬৪ সাল। করের সেই টাকা দিতে না পারায় বিহারের মুঙ্গেরে রাজাকে বন্দি করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন; Budhni Mejhan Passes Away: প্রয়াত ‘জওহরলাল নেহরুর স্ত্রী’! বয়স হয়েছিল ৮৫…

বন্দিদশা কাটিয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র যেদিন বজরা চেপে কৃষ্ণনগরে ফিরছিলেন সেদিন ছিল বিজয়া দশমী। সেবারের মতো রাজার আর দুর্গাপুজো করা হল না। এটা ভেবে রাজা খুব মুষড়ে পড়লেন। তবে রাতেই স্বপ্নাদিষ্ট হন। স্বপ্নে রাজা বার্তা পান– কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দুর্গামন্ত্রে সপ্তমী অষ্টমী নবমী পুজো করলেই দুর্গাপুজোর ফল লাভ হবে, দেবীর নাম হবে জগদ্ধাত্রী!

আরও পড়ুন; Krishnanagar: গরিবের ভগবান! ৯২ বছরের ধন্বন্তরি ‘ফিজ’ নেন মাত্র ১০ টাকা, প্রেসার মাপতে ৭…

শোনা যায়, সেই সময় থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন। রাজ পরিবারের সমস্ত রকম পুজো পরিচালনা করতেন শান্তিপুরের হরিপুর অঞ্চলের ব্রহ্মশাসনের একশো আটঘর ব্রাহ্মণ। কৃষ্ণচন্দ্রের গুরুদেব চন্দ্রচূড় তর্কচূড়ামণি বসবাস করতেন ওই এলাকায়। তাঁকে বলা হয়েছিল জগদ্ধাত্রীর প্রকৃত রূপসন্ধান এবং তাঁর পুজোবিধি তৈরি করতে হবে। 

রাজার আদেশ পেয়ে চন্দ্রচূড় তর্কচূড়ামণি কামরাঙা গাছের নীচে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে ধ্যান শুরু করলেন। সেখানেই তিনি জগদ্ধাত্রীপ্রতিমার প্রকৃত রূপ দর্শন করলেন। ক্রমে রাজবাড়িতে পুজো শুরু। ব্রহ্মশাসন গ্রামেরই তাই প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো করার কৃতিত্ব। পরে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই এই পুজোর প্রচলন হয়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *