জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জীবনের এমন খুব কম ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে মহাত্মা গান্ধী কোনও না কোনও ভাবে জুড়ে যান না। সব বিষয়েই মহাত্মার কোনও না কোনও মন্তব্য, উপদেশ, রচনা, বক্তৃতা, কিংবা স্রেফ তাঁর আচরণ মানুষকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আলোকিত করে, সমৃদ্ধ করে, দিশা দেখায়। সেই ক্ষেত্রটা সত্যিই বহু দূর বিস্তৃত। কিন্তু তাই বলে ফুটবলেও মহাত্মা? তা-ও আবার ফুটবলের দেশে, খোদ ব্রাজিলে? মিডফিল্ড প্লেয়ার তিনি? এ কি রসিকতা, নাকি রহস্য? না নিছক ঠাট্টা-মজা?
আরও পড়ুন: Rahul Dravid: বিশ্বকাপ পর্যন্তই ছিল তাঁর সঙ্গে চুক্তি, ভবিষ্যৎ নিয়ে আপডেট দ্রাবিড়ের
না, সেসব কিছুই নয়। শুনতে যত আশ্চর্যই লাগুক, মহাত্মা গান্ধীর বিপুল কর্মময় জীবনে ফুটবলের জন্যও কিছুটা জায়গা ছিল, কিছুটা ভাবনা ছিল। এ কথা হয়তো খুব মানুষই জানেন যে, গান্ধী ১৯০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় (জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া ও ডারবানে) তিনটি ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন! যেগুলির নাম ছিল– ‘প্যাসিভ রেসিস্টারস সকার ক্লাব’! তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার করে তুলেছিলেন ফুটবলকে। শোনা যায়, খেলার বিরতিতে মহাত্মা মাঠে এসে ফুটবল টিমগুলির সঙ্গে অহিংস প্রতিরোধ নিয়ে কথা বলতেন, পাশাপাশি তাঁর নীতি-আদর্শ-লড়াই নিয়ে বার্তা লিপিবদ্ধ করে প্যামফ্লেট হিসেবে তা দর্শকাসনে বিতরণও করতেন।
তবে এই লেখাটি ঠিক যে কারণে লেখা হচ্ছে, তা এসবের জন্য নয়। সদ্য সামনে এসেছে সত্যিই এক মজার ব্যাপার। ব্রাজিলে খেলছেন মহাত্মা গান্ধী! খেলছেন? হ্যাঁ, খেলছেন। খেলছেন ক্লাব ফুটবলে। ক্লাবের নাম ত্রিনডেড।
তবে কিনা, তিনি আমাদের জগদ্বিখ্যাত মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী নন। তিনি বছর-একত্রিশের এক খেলোয়াড়। পুরো নাম– ‘মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও ম্যাত্তোস পিরেজ’! ২০১১ সাল থেকে পেশাদারি ফুটবলে কেরিয়ার শুরু এই ‘মহাত্মা গান্ধী’র। এক দশকের বেশি সময় ধরে ব্রাজিলে ক্লাব ফুটবল খেলছেন। কেরিয়ারের শুরু হয়েছিল আতলেতিকো ক্লাব গোইয়ানিয়েন্সের সঙ্গে। এখন খেলেন ত্রিনডেডে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)