Jagadhatri Puja 2023 : রোগীর প্রাণ বাঁচানো হাতেই তৈরি মায়ের মৃন্ময়ী রূপ, ‘ডাক্তারবাবু’র পুজোয় হাজির মন্ত্রীও – jagadhatri puja idol made by local doctor at bhadreswar hooghly


গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে সারাদিন রোগীর শুশ্রূষা করেই কেটে যায় তাঁর। রাতে যেটুকু ফুরসৎ পান সেটাকেই কাজে লাগান নিজের ভক্তি ভাবনার বহিঃপ্রকাশে। তিলে তিলে গড়ে তোলেন মায়ের মৃন্ময়ী রূপ। চিকিৎসকের হাতে প্রাণ পায় মা জগদ্ধাত্রী। ডাক্তারবাবুর হাতের তৈরি প্রতিমা দেখতে তাঁর বাড়িতে হাজির হলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

চিকিৎসকের হাতে প্রতিমা তৈরি

রোগী দেখে রাতে বাড়ি ফিরে কাদা মাটি হাতে তৈরি করেন জগদ্ধাত্রী মূর্তি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জগদ্ধাত্রী মূর্তি করে আসছেন ভদ্রেশ্বর সরকার পাড়ার ডাক্তারবাবু বিপ্লবেন্দু তালুকদার। মাটির টানে হাজারো পরিশ্রমের মধ্যেও সারা রাত জেগে তিনি বানিয়ে চলেন দেবী প্রতিমা। এবারেও তাঁর অন্যথা হয়নি। ছোটবেলা থেকেই মা জগদ্ধাত্রী মূর্তি তৈরি প্রতি তাঁর অমোঘ টান। যে হাতে মানুষের প্রাণ বাঁচান, সেই হাতেই মায়ের মূর্তিতে প্রাণদান করেন

ছোট থেকেই মূর্তি গড়ার আগ্রহ

ছোটবেলা থেকেই বিপ্লবেন্দুবাবুর মৃৎ শিল্পের প্রতি বিশেষ আগ্রহ। বয়স যখন তার ৭ বছর সেই সময় থেকেই তিনি নিজের হাতে ঠাকুর তৈরি করতেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রতিমার দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা। একেবারে কাঠামোর উপরে খড় বাঁধা থেকে শুরু করে মাটি লাগানো রং করা চালচিত্র তৈরি সব কাজই একার হাতে করেন বিপ্লবেন্দু তিনি। অষ্টমীর সকালে তার বাড়িতে হাজির হন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

কী বললেন মন্ত্রী?

মন্ত্রী বলেন, চন্দননগরের পুজো বিখ্যাত পুজো। মা জগদ্ধাত্রী জগতের ধাত্রী। মা সবাইকে ভাল রাখুক। বিপ্লবেন্দু তালুকদার নিজে ঠাকুর বানিয়ে পুজো করেন। তাঁর স্ত্রীও একজন খুব ভালো সংগীত শিল্পী। একজন মায়ের মূর্তি বানায় একজন গান গেয়ে মায়ের কাছে সুরের যাত্রা পৌঁছে দেয়। মায়ের কাছে সকলের জন্য চাওয়া হয়, যাতে সকলে ভালো থাকে। তাঁর কথায়, চন্দননগরের পুজো সারা বিশ্ব জানে । স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজের চাপ সামলে এই ধরনের পুজো করা ঈশ্বরের আশীর্বাদ না থাকলে সম্ভব হয় না।

Jagadhatri Puja 2023 Date : মানবিক সত্তাকে গিলছে যন্ত্রদানব! সভ্যতার অগ্রগতি নিয়ে অপূর্ব বার্তা জগদ্ধাত্রীর মণ্ডপসজ্জায়
বিপ্লবেন্দু বাবুর দাদা জানান, ছোট থেকেই তার ভাইয়ের মৃৎশিল্পীদের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। ছোটো বেলায় স্কুল থেকে ফিরে চলে আসতেন তিনি পাল পাড়ায় মৃত শিল্পীদের ঠাকুরের গোলায়। ছোট থেকেই কাদামাটি নিয়ে তার খেলার শখ। সেই থেকেই ঠাকুর বানানোর প্রতি আগ্রহ যা এখনও চেপে ধরে রয়েছে তাঁর মনে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *