World Cup Final : সাউন্ড সিস্টেম আর স্টকের বাজির দাপট, তবে সেলিব্রেশন না হওয়ায় কিছুটা ছাড় – on the day of the world cup cricket final on sunday the sound system was on the rampage


এই সময়: বারুদের মশলা মজুত ছিল। কিন্তু শেষমেশ ‘বিস্ফোরণ’ হলো না। তবে তা-ই বলে রবিবার শব্দদৈত্য থেকে কলকাতা বা লাগোয়া এলাকা একেবারে ছাড় পেয়েছে, এমনও কিন্তু নয়। বাজি ফেটেছে। তবে সব থেকে বেশি তাণ্ডব চলেছে লাউডস্পিকার, সাউন্ড বক্সের।

ছট তো ছিলই। রবিবার ছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালও। গোটা দেশ চেয়েছিল রোহিত-বিরাটদের হাতে কাপ দেখতে। স্বপ্নপূরণ হয়নি। ফাইনালের কথা ভেবেই অনেকে কালীপুজো, দীপাবলিতে বাজি স্টক করে রেখেছিলেন। ম্যাচ চলাকালীন যেটুকু সুযোগ পাওয়া গিয়েছে, তখনই ‘স্টক ক্লিয়ারেন্স’ চলেছে। আর ছটে বাজির দাপট তো নতুন কিছু নয়। বিকেল-সন্ধে পর্যন্ত কলকাতায় ছটের বাজির জন্য অনেক জায়গায় কান পাতা দায় হয়ে গিয়েছিল। তবু অন্য বছরের তুলনায় এই দাপাদাপি খানিক কম বলেই মনে করছেন অনেক পরিবেশবিদ।

তবে তাণ্ডব চলেছে সাউন্ড সিস্টেমের। ছোট-মাঝারি-বড় পণ্যবাহী গাড়িতে করে তারস্বরে গান বাজিয়ে বিভিন্ন ঘাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বহু মানুষ। অভিযোগ, বেশিরভাগ জায়গাতেই পুলিশকে নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ লালবাজার।

এ দিন ক্রিকেট ঘিরে পাড়াগুলিতে ছিল সাজ-সাজ রব। বিরাট-রোহিতদের জার্সি পরে পাড়ার মোড় থেকে রেস্তরাঁ-বারে ভিড় জমিয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অকাল দীপাবলি তো হলোই না, উল্টে রাগে-বিরক্তিতে জমানো বাজি ফাটিয়ে ফেললেন অনেকে। যাদবপুর, টালিগঞ্জ থেকে টালা, বেহালা, বেলেঘাটা- সর্বত্র যন্ত্রণার সেই শব্দ শোনা গিয়েছে কলকাতা।

এর সঙ্গে ছিল ছট। পুণ্যার্থীরা যাতে সহজে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে যেতে পারেন, সে জন্য বিকেলের পর একসময়ে এসএন ব্যানার্জি রোড বন্ধ করে দেয় পুলিশ। শুধুমাত্র ছটের গাড়িগুলির ছাড় ছিল। কিন্তু অভিযোগ, একসময়ে বাজি আর সাউন্ড সিস্টেমের দাপটে গঙ্গা পর্যন্ত ওই গোটা এলাকায় কান পাতা দায় হয়ে পড়ে। গাড়ি থেকে পথচলতি বাইক তাক করে চকোলেট বোমা ছোড়া হয়েছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।

পুকুর-নদীর ঘাট মিলিয়ে ১৩০টি জায়গায় পুলিশি বন্দোবস্ত ছিল। নিরাপত্তায় ছিলেন চার হাজার পুলিশকর্মী। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের সামনেই কোথাও কোথাও বেপরোয়া ভাবে গান চালানো হয়েছে। পরিবেশরক্ষার জন্য এ দিন রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবর বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও সেখানে ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ বার অবশ্য কোনও গোলমাল হয়নি সেখানে।

যাদবপুর বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মী অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ছটপুজোতে কালীপুজোর মতো শব্দের তাণ্ডব হয়নি। তবে কতটা জলদূষণ হলে, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।’ নদী আন্দোলনের কর্মী তাপস দাস বলেন, ‘যে কোনও ভাবেই নদীর দূষণ মেনে নেওয়া যায় না। তবে ছটপুজোর থেকেও অন্যান্য ভাবে আমাদের নদী দূষিত হচ্ছে। সে দিকে সরকারের বেশি নজর দেওয়া দরকার।’

রবিবার তক্তা এবং দহি ঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়ার পারিষদ দেবাশিস কুমার। তিনি বলেন, ‘পুজোর সামগ্রী, ফুল জলে যাতে না মেশে, তার জন্য কলকাতা পুরসভার তরফে প্রতিটি ঘাটে আগে থাকতেই জাল লাগানো হয়েছে। সন্ধের পর থেকে আমরা পুজোর সামগ্রী জল থেকে তোলার কাজ শুরু করেছি। সোমবার সকালেও পুজো শেষ হলে একই ভাবে ঘাট থেকে পুজোর সামগ্রী তুলে নেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *