Bardhaman West Bengal : সরকারি জমি বিক্রি লাখ লাখ টাকায়! রাজ্যে নয়া ‘কেলেঙ্কারি’-র অভিযোগ – west bengal government land allegedly sold by goons in purba bardhaman district


খাতায় কলমে সরকারি জমি, আর সেই জমিই লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। গজিয়ে উঠছে বহুতল বাড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগ শাসকদলের নেতাদের মদতেই মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বহুমূল্যের সরকারি জমি। বর্ধমান ২ নং ব্লকের বাম এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে লাখ লাখ টাকায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারকে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে সরোজমিনে তদন্তে যান তিনি। সেখানে গিয়ে নির্মীয়মাণ একটি বহুতলের কাজ আটকে দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। বর্ধমান জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝিসহ ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সরকারি জমি মোটা টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শাসক দলের নেতাদের মদতে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। এই নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল মানেই কয়লা, বালি ও পাথর চুরিতে অভ্যস্ত। সেখানে এবার নতুন সংযোজন সরকারি জমি চুরি। আজ মানুষ অভিযোগ করেছে, সেই কারণে তদন্ত হচ্ছে। এইরকম অনেকক্ষেত্রেই শাসকদলের নেতাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে পারে না। সেই সুযোগে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে সরকারি জমি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের থেকে এর থেকে বেশি আর কী প্রত্যাশা করা যায়।’

Malda News: অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি, শিশুকে মায়ের কাছে ফিরিয়েও ‘কাটমানি’ TMC নেতার
জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, ‘সরকারি বিশাল পরিমাণ জমি প্লট করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। অনেক বাড়ি তৈরি হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত হবে। এর পিছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। তাঁরা যে দলেরই হোক, রেয়াত করা হবে। প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’

অন্যতম তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। এর পিছনে বিস্তর রাজনীতি রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটনো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গোরু, কয়লা, বালি পাচার থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ, রেশনসহ একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের নেতাদের। ফের নতুন করে অভিযোগ ওঠায় তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *