নিত্যনতুন আলোর কারুকার্যের পাশাপাশি অভিনব লেজার শো, এবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। তাই জেলা থেকে রাজ্য, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশি অতিথিদের ভিড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো।
শারদ উৎসবের শেষ লগ্ন থেকেই শুরু হয় চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমাতেও থাকে একের পর পর এক চমক। অধিকাংশ মণ্ডপেই বিরাট আকারের প্রতিমা। কোনও প্রতিমায় সোলার কাজ কোথাও আবার অভিনবত্বের ছোঁয়া। গয়নার আভিজাত্যে প্রতিমা যেমন দর্শনীয়, তেমনই আলোর শহর হিসেবে পরিচিত চন্দননগর মন কেড়ে নেয় দর্শনার্থীদের। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
কোন কোন মণ্ডপে দারুণ আলোর খেলা?
চন্দননগরের আলোর কাজ দেখার জন্য প্রতিবছর মানুষ ভিড় করেন বড়বাজারে। সেখানকার আলোর সামিয়ানা দেখার জন্য দর্শনার্থীদের তুমুল আগ্রহ। এবছরও আলোর সামিয়ানা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। ১২০ ফুটের আলোর চাদরে চমকে দিয়েছে দর্শনার্থীদের।
পুকুরের মধ্যে আলো ও লেজার লাইট দিয়ে জলের উপর ফুটে উঠেছে অ্যানিমেশন। মধ্যাঞ্চল সার্বজনীন এবার চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাসে নজর দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
মেকানিক্যাল আলোর সঙ্গে রাস্তা জোড়া চোখ ধাঁধানো আলো, কলুপুকুর সার্বজনীনের মেকানিক্যাল আলো দেখতে ভিড় জমছে বহু মানুষের।

চন্দননগরে আলোর সাজ।
ফটোগোড়া সার্বজনীনের এবারের মণ্ডপেও নজর কেড়েছে আলোর কাজ। এই পুজো মণ্ডপে এবার আলোর বাহার। রাস্তা দু’ধারে আলোর রোশনাই মন কাড়ছে দর্শনার্থীদের।
অন্যদিকে মনসাতলা বাউড়ি পাড়ায় প্রতি বছরই থাকে নতুন চমক। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার আলোর কাজে কিংকংকে ফুটিয়ে তুলেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রতিবছর তাঁদের মণ্ডপে থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। আলোর খেলা দেখতে দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ গঙ্গাপাড়ের এই শহরে আসছেন।

আলোয় সেজে উঠেছে ফরাসিডাঙা।
মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল
জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখার জন্য চন্দননগরের মণ্ডপে মণ্ডেপ মানুষের ঢল নেমেছে। ভিড় উপচে পড়েছে বিভিন্ন নামজাদা মণ্ডপেও। জগদ্ধাত্রী পুজোর এই দিনগুলিতে ‘নো এন্ট্রি’ করে দেওয়া হয় চন্দননগর। বাইরে থেকে কোনও গাড়ি ভিতরে থাকার কোনও সুযোগ থাকে না।