এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি পরিষেবা থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত রেখে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ?
এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
অফিস কামাই করে আন্দোলন?
মঙ্গলবার DA আন্দোলনকারীদের আন্দোলন ২৯৯ দিনে পা দিয়েছে। এই সময় কি পরিষেবা থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত রেখে চলছে মহার্ঘ ভাতা আদায়ের আন্দোলন?
এই প্রসঙ্গে ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘এই মঞ্চে সবসময় সকলে থাকেন না। যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত তাঁরাই সবসময় থাকেন। অন্যদিকে, সরকারি কর্মীরা ছুটি নিয়ে থাকেন বা অনেক সময় অফিসের পরে-আগে উপস্থিত হন।’ অর্থাৎ পরিষেবা থমকে দিয়ে এখনও পর্যন্ত আন্দোলন করছেন না তাঁরা, স্পষ্ট করেন ভাস্কর ঘোষ। তিনি আরও বলেন, ‘আগামীদিনে পরিষেবা বন্ধ করে আন্দোলনের পথে হাঁটা হতে পারে।’
কত টাকা খরচ?
প্রায় ৩০০ দিনে পা দিতে চলল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন। একই মধ্যে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের বিরুদ্ধে। যদিও সেই সময় যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত DA আন্দোলনের ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হয়েছে? ঠিক কী জানা যাচ্ছে?
ভাস্কর ঘোষ জানান, একটি বিস্তারিত হিসেব তৈরি করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তা তুলে ধরা হয়নি। এই ২৯৯ দিনে এক কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এর মধ্যে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনের খরচও রয়েছে। দিল্লিতে গিয়েছিলেন ৬৫০ জন আন্দোলনকারী। সেখানে ৪০ লাখের বেশি খরচ হয়েছে।
DA প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আপাতত এই সংক্রান্ত মামলাটি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী বছর ফের মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইয়া অবশ্য বলেন, ‘সরকার সহানুভূতির সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিষয়টি দেখছে। তবে কেন্দ্রের থেকে বহু টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। সেই অর্থ মেটানোর দাবি জানিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA তিন শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।