মৃত্যুর পর কি হয়, কেমন হয় জীবন! ইহলোকে দোষ করলে পরলোকে কি শাস্তি মেলে? এবার অশোকনগর কল্যাণগড় এলাকার জগদ্ধাত্রী পুজোয় ফুটবল কোচিং সেন্টারের ২৪ তম বর্ষর চিন্তা ভাবনা উঠে এসেছে সেই যমালয়ের বিচারসভা। জীবনে পাপ ও পুণ্যের ফল মানুষ, এই জীবনেই পেয়ে থাকেন বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই পরজন্ম বলে কিছু হয় না। এখানে যমালয়ের বিচারসভার মাধ্যমে সেই পরলোকের চিত্রই তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
বিচারসভায় দেখা মিলছে চিত্রগুপ্ত, যমরাজের মতো জীবন্ত চরিত্র। রয়েছে চিত্রগুপ্তের সেই বিশেষ খাতায় যেখানে হিসেব রাখা হয় সমস্ত দোষ গুণের। আর তা মিলিয়ে বিচার করেই শাস্তি মেলে যমরাজের দরবারে। পরলোকের সেই যমালয়ের বিচার সবাই এবার অশোকনগর কল্যাণগড় জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষ অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী।
এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার পুর প্রধান প্রবোধ সরকার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমীর দত্ত সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি বাড়তি ভিড় সামাল দিতে ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে। আজ মঙ্গলবার চলছে জগদ্ধাত্রী পুজো, আশা করা হচ্ছে সন্ধ্যের পর থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করবে মণ্ডপ গুলিতে। প্রতিমাতেও বিশেষত্ব রয়েছে এই পুজোর। প্রতি বছরই নানা রকম থিমের পুজো করে তাক লাগায় কল্যাণগড় ফুটবল কোচিং সেন্টার। এ বছরও তাদের যমালয়ের বিচার সভা বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করবে বলেও আশা উদ্যোক্তাদের।
এই পুজো প্যান্ডেলে আসলে মানুষ সঠিক কোন কাজ আর কোন কাজ দোষ যুক্ত তা বুঝে উঠতে পারবেন। পাশাপাশি হানাহানি হিংসার এই সমাজ কলুষিত মুক্ত করতেই এই উদ্যোগ বলে জানান পূজা উদ্যোক্তারা।তাই দুর্গাপুজোয় যদি কলকাতা নজর কেরে থাকে তাহলে কালিপুজো বারাসতে নজরকারে দর্শনার্থীদের বলা হয়,ঠিক তেমনই চন্দননগর, কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি অশোকনগরও জগদ্ধাত্রী পুজোয় দর্শনার্থীদের নজর কেরে আসছে গত কয়েকবছর ধরে।