Jagadhatri Puja : শাড়ি পরে দেবী আরাধনা পাড়ার ছেলেদের! মালোপাড়ার জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে তুমুল চর্চা – krishnanagar malopara jagadhatri puja local men worships devi idol by wearing saree


পাড়ার ছেলেরাই শাড়ি ও কপালে টিপ পরে ঢাক ঢোল সহকারে বাজনা বাজিয়ে যান জল ভরতে। মালোপাড়ার জলেশ্বরীর জন্য জল ভরার প্রচলন আজও কৃষ্ণনগরে। মালোপাড়া বারোয়ারি এই বিশেষ নিয়ম চলে আসছে বহু যুগ ধরে। জগদ্ধাত্রী পুজোর আগের দিন মাঝ রাতে মেয়েরাই পাড়ার ছেলেদের পরিয়ে দেন।

ঢাকের বাজনার সঙ্গে শাড়ি পরে ছেলেরাই মা জলেশ্বরী পুজোর জন্য যান জল ভরতে। জল ভরার সময় রাস্তায় তিন দেবতার মন্দিরে এসে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়ে যান। সেই আমন্ত্রণের মধ্যে দিয়েই করা হয় মা জলেশ্বরীর পুজোর সূচনা। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে মা জলেশ্বরীর পুজো।

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ির পুজোর পর কৃষ্ণনগরের সবথেকে পুরনো পুজোর তালিকায় সবার উপরে মালোপাড়া বারোয়ারির নাম। এই পুজোর বিশেষত্ব অনেক। স্থানীয় স্তরে কথিত রয়েছে, রাজার থেকে অনুদান পেয়ে শুরু হয় এই পুজো। এখনও রাজবাড়ির তরফে আসে এই অনুদান।

Jagadhatri Puja 2023 : বুড়িমা থেকে মিষ্টিমা! কৃষ্ণনগরে হরেক নামে পূজিত হন জগদ্ধাত্রী, কেন জানেন?
জলেশ্বরীর পুজোর বিশেষ আকর্ষণ

মা জলেশ্বরী মালোপাড়ার দেবী। এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল ধুনো পোড়ানো। কেউ মাথায় নিয়ে বা দুই হাতে ধুনো পোড়ান এই পুজোয়। লেলিহান শিখা ছুঁয়ে যায় মন্দিরের ছাদ। মালো পাড়ার মা জলেশ্বরীর বিসর্জন কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যশালী সাংঙের দ্বারা হয় না। অর্থাৎ কাঁধে করে এই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় দেবী প্রতিমা। মায়ের মূর্তির সামনে জ্বলে কার্বাইট গ্যাসের বাতি। এই পুজোয় এখনও ছেলেরাই শাড়ি পরে জল সাজতে যান।

উল্লেখ্য, বঙ্গের গদিতে তখন রাজ করছেন নবাব আলিবর্দি খাঁ। তাঁর রাজত্বকালে নদীয়ার রাজার কাছ থেকে ১২ লাখা টাকা নজরানা দাবি করা হয়। কৃষ্ণচন্দ্র রায় তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদে। ছাড়া পেয়ে রাজা যখন নদীপথে কৃষ্ণনগরে ফিরছেন, তখনই তাঁর কানে আসে মা দুর্গার বিসর্জনের বাজনা। সেই বছর দুর্গাপুজো করতে না পারায় অত্যন্ত দুঃখ পান তিনি। তখন থেকে সূচনা করেন জগদ্ধাত্রী পুজোর।

পুজো কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘এখানে ধর্মরাজ শিব হিসেবে পূজিত হন। শিবের শরীর থেকে নারীর সৃষ্টি হয়েছিল বলেই মনে করেন। সেই কারণেই এই প্রথা চালু হয়েছে বলে কথিত রয়েছে। দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য সেই সময়ের নিম্নবর্গের মানুষরা এই প্রথা চালু করেন। তারপর থেকে এখান থেকে ধুনো নিয়ে নাচ হয়ে আসছে। সেই কারণে ছেলেরা শাড়ি পড়ে জল ভরকে যান।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *