এই আবহে মঙ্গলবার সকালে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের রাঙ্গামাটি গ্রামের একটি আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েক বস্তা চাল পাচার করা হচ্ছে, এমনটাই সন্দেহ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী সুষমা রুইদাসের দিকে। অভিযোগ উঠছে, আইসিডিএস কেন্দ্রের এই কর্মীকে বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা যেত। তিনি তৃণমূল কর্মী বলেও দাবি করেন এলাকাবাসী।
একটি টোটোয় করে চাল পাচারের সময় স্থানীয়রাই লাউ দোহা থেকে গৌরবাজার যাওয়ার পথে টোটো আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, চাল সরিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ছোট শিশুদের খাবার পাচার নিয়েও অভিযোগ করেন। যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত আইসিডিএস কর্মীর হদিশ মেলেনি।
এই খবর জানাজানি হওয়ার পর সেখানে পৌঁছয় লাউ দোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ। এছাড়াও সেখানে পৌঁছন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় ও দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শেখ আনারুল জানান, আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে চাল বার করার সময় তিনি জিজ্ঞাসা করেন, চাল কোথায় যাচ্ছে ? তাঁকে উত্তর দেওয়া হয় চাল যাবে শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের একটা আইসিডিএস কেন্দ্রে। সেই কেন্দ্রের চাল প্রয়োজন। আর সেই কারণে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে ধার দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় সেই চাল ভর্তি টোটোর পিছন ধাওয়া করেন তিনি। দেখতে পান শ্রীকৃষ্ণপুর না গিয়ে টোটোটি যাচ্ছে লাউদোহার দিকে। রাস্তায় টোটো আটকে ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষ জড়ো হন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সভাপতি সুজিত জানান, একটা সময় ওই আইসিডিএস কর্মী তৃণমূলে সভানেত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর আরও দাবি, শিশুদের চাল যে চুরি করার চেষ্টা করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এদিন তিনি আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে SSKM হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সেখানেই তাঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ভর্তি করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।