কী ঘটনা?
সম্প্রতি শিলিগুড়ি ও আশপাশের এলাকায় বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে। বাইক রেখে একটু এদিক ওদিক গেলেই বিপদ। মালিক এসে দেখছেন বাইক গায়েব। সেই বাইক চুরির গ্যাং চালাচ্ছিল খোদ এক মহিলা। বাইক চুরির চক্রেরই মূল পাণ্ডা এই নার্গিস, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। নিজেও বাইক চুরি করতে সিদ্ধহস্ত সে। নার্গিস খাতুন নামে সেই যুবতীকে গ্রেফতার করল মাটিগাড়া থানার পুলিশ। তার আরও সঙ্গীকে ধরা হয়েছে। ধৃতের নাম সন্তোষ সাহানি।
ছটপুজোর সময় শিলিগুড়ির শালবাড়ি ঘাট এলাকায় একটি বাইক চুরি হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মাটিগাড়া থানা নার্গিসকে গ্রেফতার করেছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই তার খোঁজ চলছিল, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। গ্রেফতারির পর থেকে নার্গিসকে দফায় দফায় জেরা করেছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকার। আর তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নার্গিস চুরির বাইকগুলি অন্যত্র পাঠাত। এমনকী সে মাদকের কারবারের সঙ্গেও জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ধৃতকে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। জানা গিয়েছে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নার্গিস খাতুন বাইক চুরির চক্রটি চালাচ্ছিল। বাইক চুরির পর সেগুলি অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হত। বাইকের যন্ত্রাংশও খুলে বিক্রি করে দেওয়া হতো। নার্গিস তার গ্যাং মেম্বারদের কাছে দিদি নামেই পরিচিত ছিল। এদিকে নকশালবাড়ি থানাও এক বাইক চোরকে গ্রেফতার করেছে। গত কয়েকদিনে নকশালবাড়িতে বাইক চুরি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ি বাসিন্দা সন্দীপ চন্দ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বাইক চুরির ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাইক রেখে কেউ শান্তিতে এদিক ওদিক যেতে পারত না। অবশেষে চক্রের মূল পাণ্ডা গ্রেফতার হওয়ায় আমরা খানিক স্বস্তি পেয়েছি। পুলিশের এই বিষয় গুলিতে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিৎ।’