Uttarkashi Tunnel Collapse: ‘দেখুন না একবার যদি একটু কথা বলানো যায়…’, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা স্বামীর জন্য আর্তি স্ত্রীয়ের – west bengal three labours struck in uttarkashi tunnel collapse accident


উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী এলাকায় সুড়ঙ্গের কাজে গিয়ে ধ্বসে আটকে তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদার। কেটে গিয়েছে ১০ দিন, এখনও উদ্ধার করা যায়নি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের। ধ্বসে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী এলাকার সুড়ঙ্গে আরও ৪১ জন শ্রমিকের সঙ্গে আটকে বাংলার তিন শ্রমিকও। টিভিতে এই খবর জানতে পেরে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের সদস্যদের। ১০ দিন সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ঘরের মানুষগুলোকে নিয়ে কেঁদে আকুল।

অভাবের সংসার পরিবারের সদস্যদের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দিতে উত্তরাখণ্ডে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন বলরামপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকাডোরা গেরগেন্দার পার এলাকার মানিক তালুকদার (৫০)। খবর শোনার পর থেকে স্বামীর ছবি বুকে নিয়ে এক রাশ কেঁদে চলেছেন মানিক বাবুর স্ত্রী সোমা তালুকদার। জানা যায়, প্রায় ৬ মাস হল মানিক বাবু উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশী এলাকায় সুড়ঙ্গে হায়দ্রাবাদের এক কোম্পানির হয়ে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজে যায়। সেই সুড়ঙ্গে ধ্বস নামে।সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছে এবং তাদের মধ্যে বাংলার রয়েছে ৩ জন বাসিন্দা।

বাংলার তিনজনের মধ্যে রয়েছেন কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের বলরামপুরের মানিক তালুকদার রয়েছেন। পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, গত শনিবার শেষ বার কথা হয় পরিবারের সঙ্গে। পরে টিভিতে খবর দেখতে পান যে, সুড়ঙ্গে ধস নেমে দুর্ঘটনার কথা। বাংলার ৩ জন শ্রমিকও সেই সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন। এর পর মানিক বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পরিবারের লোকজন কিন্তু ফোন করলেই বলছে মোবাইল বন্ধ। কোনও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এমন কি কোনও খবর কেউ দিতে পারছেন না। কোম্পানির তরফ থেকে এতবড় দুর্ঘটনার পরও তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। মানিক বাবুর স্ত্রী সোমা তালুকদারের কাতর আবেদন, ‘একবার দেখুন না, যাতে একটু কথা বলা যায়। কিন্তু, কোনও ভাবে তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারছে না। গলাটা একটু শুনতে চাই।’ পরিবারের একমাত্র রোজগারে ব্যক্তির খবর না পেয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন।

Uttarakhand Tunnel Collapse Highlights : ১০ দিনের মাথায় জুটল গরম খিচুড়ি, কেমন আছেন টানেল বন্দি শ্রমিকরা, প্রকাশ্যে প্রথম ভিডিয়ো
এদিকে সোমবার মানিক তালুকদারের বাড়িতে যান তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লক বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক অনিরুদ্ধ রায়। এ বিষয়ে মানিক তালুকদারের ছেলে জানিয়েছেন, কোম্পানির তরফ থেকে কোনও সেফটি পাইপ রাখা হয়নি, আগে থাকলেও বর্তমানে সেটা খুলে ফেলা হয়েছে। সেফটি পাইপ না থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *